বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ


টানা ১২ মাস মূল্যস্ফীতির ধারা কমতির দিকে থাকলেও পণ্যমূল্যের বাড়তি চাপে শুরু হয়েছে নতুন বছর। এক বছরের ধারার বিপরীতে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে। আগের মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। পরিসংখ্যান বুরোর জানুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় গতকাল বুধবার। রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী

এমএ মান্নান। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট (গত বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করে) প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বিবিএস। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। এরই প্রভাবে বেড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এর আগে গত বছরের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এক বছরে তা কমে গত ডিসেম্বরে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশে।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশে জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশে। ডিসেম্বরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে। ডিসেম্বরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বিবিএস’র তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারি মাসে চাল, ডাল ও মাছের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্রাদি, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণসহ বিবিধ খাতে খরচ আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে।

শহর ও গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির তথ্যে দেখা যায়, গ্রামীণ অঞ্চলে জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৪ ভাগে, যা ডিসেম্বরে ছিল ৪ দশমিক ৯১ ভাগ। এ সময় গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৮৪ ভাগ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ২৮ ভাগ হয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক শূন্য ৫ ভাগ থেকে কমে ৪ দশমিক ৮৯ ভাগ হয়েছে।

শহর অঞ্চলে জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ ভাগে, যা ডিসেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ১৪ ভাগ। এ সময় শহর অঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ২৭ ভাগ থেকে কমে ৫ দশমিক ৪৩ ভাগ হয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৯৯ ভাগ হতে বেড়ে সাড়ে ৬ ভাগ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রতি মাসেই শহর ও গ্রাম অঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের পৃথক মূল্যস্ফীতি সূচক তৈরি করে বিবিএস। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো এক বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় একই পরিমাণে বেড়েছে। এক বছর আগে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা লাগত একই পণ্য কিনতে বর্তমানে ১০৫ টাকা ৪২ পয়সা লাগবে। আয় না বাড়লে এই পরিমাণ মূল্যের পণ্য কম কিনতে হবে ভোক্তাদের।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১