বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০১৯

ইস্তাম্বুলে এশিয়া-ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদ উদ্বোধন

এরদোগানের উদ্যোগে ইস্তাম্বুলে নির্মিত মসজিদ তাশামালিজা ছবি : তুর্কি প্রেস


আকাশ ছুঁই ছুঁই তাশামালিজা মসজিদের মিনার। মিনার থেকে ইস্তাম্বুলের মেঘমালা খুব কাছ থেকে দেখা যায়। মনে হয় সুদীর্ঘ মিনারটি যেন আকাশকে আলিঙ্গন করে দাঁড়িয়ে আছে। বারান্দা ও জানালা দিয়ে পুরো ইস্তাম্বুল নগরীর দু’পাশ দেখে নেওয়া যায় একনজরে। প্রবহমান সুদৃশ্য বসফরাস প্রণালীকে তখন খুব আপন মনে হয়। ছয় বছর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নির্মিত ইউরোপের সর্ববৃহৎ এ মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৭ মার্চ মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ফজরের নামাজের আজান ও নামাজ আদায়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় এশিয়া ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় এ মসজিদের। খবর তুর্কি প্রেসের।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম তুর্কি প্রেস জানায়, ৬৩ হাজার মুসল্লি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদ কমপ্লেক্সটিতে ইসলামী ইতিহাস সংরক্ষক নয়নাভিরাম জাদুঘর, আর্ট গ্যালারি, মনোরম লাইব্রেরি, সুবিশাল কনফারেন্স হল, বিস্তৃত পার্কিং লটসহ নতুন নতুন বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে।

আয়তনগত দিক বিবেচনায় এশীয় ও ইউরোপ অঞ্চলে এটিকে বলা হচ্ছে সর্ববৃহৎ মসজিদ। গত প্রায় এক শতাব্দীতে আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার পর এটিই তুরস্ক নির্মিত সর্ববৃহৎ মসজিদ।

তুরস্কের বৃহত্তম মসজিদটি নির্মাণের তত্ত্বাবধান প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজেই করেছিলেন, যা নিয়ে দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। দেশটির সেক্যুলারদের একটি অংশ রাষ্ট্রীয় টাকায় এত বড় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে এরদোগানের সমালোচনায় লিপ্ত হন।

তাশামালিজার সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হওয়ায় মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে তাশামালিজা মসজিদ। মসজিদে সর্বমোট ছয়টি মিনার রয়েছে। বড় মিনার দুটির উচ্চতা ১০৭ দশমিক ১ মিটার যা মসজিদে নববীর মিনারা থেকেও লম্বা। একটি বিশেষ তাৎপর্যের দিকে লক্ষ রেখে ১০৭.১ সংখ্যাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংখ্যার মাধ্যমে ১৭০১ সালের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। সেলজুকি সুলতান আলাব আরসালান ১৭০১ সালে মালাজিকারদের যুদ্ধে বাইজানটাইনকে পরাজিত করেছিলেন। মসজিদটির ৭২ মিটার উচ্চতার প্রধান গম্বুজটি শহরে বসবাসকারী ৭২টি জনগোষ্ঠীর ইঙ্গিত বহন করে। আর ৩৪ মিটার ব্যাসের দ্বিতীয় গম্বুজটি ইস্তাম্বুলের গাড়ির লাইসেন্স নম্বর প্লেট উপস্থাপন করে।

গম্বুজগুলোর আশপাশে মহান আল্লাহর ১৬টি নাম কারুকার্যে খচিত করা হয়েছে, যা উসমানি তুর্কিদের হাতে নির্মিত ১৬টি রাষ্ট্রের নিদর্শন বহন করে। মসজিদটির ফ্লোরে ১৭ হাজার বর্গমিটারের সুবৃহৎ ও নয়নাভিরাম একটি গালিচা বিছানো হয়েছে, যা বিশেষ পরিকল্পনা ও কারুকার্যে তৈরি। নামাজের পাশাপাশি মসজিদটিতে জানাজা আদায় ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

তুরস্কের সর্ববৃহৎ এ মসজিদটি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অন্যতম সফলতা বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে এর জন্য অনেক সমালোচনাও তাকে শুনতে হয়েছে।

 

লেখক : আলেম ও গবেষক


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১