আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০১৯
বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারেরচর এলাকায় দশানী নদে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এ বালু দিয়ে নিচু ও জলাভূমিসহ বিভিন্ন ভরাট কাজের ব্যবসা করা হচ্ছে। প্রায় সারা বছরই চলে অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলনকারী চক্রটি বিভিন্ন লোককে ম্যানেজ করে দূরবর্তী এলাকার নিচু ও জলাভূমি ভরাট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু লুটের মহোৎসব চললেও প্রশাসন নির্বিকার। এতে নদী তীরবর্তী বসতি এবং হাজার হাজার একর ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে সরকারও বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা যায়,উপজেলার নদী তীরবর্তী প্রায় ১০টি গ্রাম রয়েছে। চরাঞ্চলবেষ্টিত নদী তীরবর্তী মাদারের চর, মাইছেনিরচর, কলকিহারা, ফকিরপাড়া, টুপকারচর গ্রাম বর্ষাকালে ব্যাপক হুমকির মুখে থাকে। বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে চরাঞ্চল বেষ্টিত এসব গ্রাম। স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতি বছর নদীর পানি কমার পরপরই প্রভাবশালী এ চক্রটি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে। কখনও মোটা পাইপ স্থাপন করে নদী থেকে বালু ২-৩ কিলোমিটার দূরেও সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে লাখ লাখ টাকা চুক্তিতে তাদের পুকুর, নিচু এলাকা এবং জলাভূমি ভরাট করার কাজে ব্যবহৃত হয় এ বালু। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাঈদা পারভীন জানান, এ বিষয়ে সরজমিন তদন্ত করে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারেরচর বড় ব্রীজের দুই পাশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেই বালু দিয়ে মাদারেরচর গ্রামের ছোট ছোট নালা, নিচু এলাকা, পুকুর ও ডোবা ভরাট করা হচ্ছে । এছাড়া পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভরাট কাজে এ বালু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার বালু উত্তোলন করা হয়। ফলে নদী তীরবর্তী কৃষকদের ফসলি জমি, নদী শাসন ব্যবস্থা এবং নদীপাড়ের বাসিন্দারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন প্রতিনিয়ত।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১