আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০১৯
সবার গায়ে সাদা শার্ট। পরনে রয়েছে কালো জিন্স-গ্যাবার্ডিন আবার কারো ফরমাল প্যান্ট। দলনেতার গলায় টাই, কাঁধে র্যাংক ব্যাজ। ব্যবহার করেন দামি গাড়ি। কথায় ও চলনে বেশ আত্মবিশ্বাসী। প্রথম দেখায় যে কেউ বলবেন তারা কাস্টমস কর্মকর্তার একটি টিম। তবে বাস্তবে তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। কাস্টমস কর্মকর্তার ছদ্মবেশে ইতোমধ্যে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মিরপুর থেকে র্যাব এ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, ছয় সদস্যের এ প্রতারক চক্রের প্রধান নূরুল হক (৫৭)। সে নিজেকে কাস্টমস সহকারী কমিশনার (এসি) পরিচয় দেয়। দামি গাড়ি হাঁকিয়ে এ পরিচয়কে বিশ্বাসযোগ্য করে। এ চক্রটি নিজেদের কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরি দেওয়া ও ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্যে সোনাদানা বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত। গ্রেফতাকৃত অন্যরা হলো মো. শেখ আলম (৪৩), ফিরোজ আলম (৫৭), মোশারফ (৫৪), মাসুদ রানা (৪৩), রেণু মিয়া ওরফে রনি (৩৮)। মাঠপর্যায়ে এই চক্রের দু-একজন সদস্য আছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে টার্গেট ভিকটিম ও গ্রাহক চিহ্নিত করে। এরপর মানুষ অনুযায়ী কৌশল নির্ধারণ করে। প্রতারণার কৌশল হিসেবে চক্রটি শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীকে কাস্টমস অফিসার হিসেবে চাকরি দেওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব দিত। এজন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত তারা। টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল সিম বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায় চক্রের সদস্যরা। চক্রটি দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১