পৈতৃক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁওয়ে পারিবারিক কবরস্থানে অভিনেতা টেলি সামাদের বাবা ও মায়ের কবর। তাদের কবরের পাশেই সমাহিত করা হলো এই অভিনেতাকে। গতকাল রোববার বিকালে টেলি সামাদের মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়।

এর আগে বাদ আসর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় টেলি সামাদের শেষ জানাজা। সেখানে মুন্সীগঞ্জ জেলার নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ অংশ নেয়।

প্রিয় অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিছ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মতিউল ইসলাম হিরো ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন জাকির।

উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী সেন্টু সরকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস ববি, নাট্যবক্তিত্ব জাহাঙ্গীর ঢালী, মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূপুর চৌধুরীসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। তার আগে গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় তার চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এফডিসিতে। এ সময় জানাজায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর পাঠান ফারুক, আলমগীর, জায়েদ খান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, অমিত হাসান, সম্রাট, আলীরাজ, ফকির আলমগীর প্রমুখ। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টেলি সামাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।

গত শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটে মৃত্যু হয় বরেণ্য অভিনেতা টেলি সামাদের। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। এদিন বাদ মাগরিব পশ্চিম রাজারবাজার মসজিদে টেলি সামাদের জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা আর হয়নি। পরে বাদ মাগরিব ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ এশা পশ্চিম রাজারবাজার মসজিদ এবং রাত সাড়ে ১০টায় মগবাজারের দিলু রোডে তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।

১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন টেলি সামাদ। এটি তার চলচ্চিত্রে ব্যবহূত নাম। আসল নাম আবদুস সামাদ পরিবর্তন করে চলচ্চিত্রে এসে টেলি সামাদ নামে পরিচিত হন এ অভিনেতা। তার পিতার নাম মরহুম কালাচাঁন মেম্বার। টিভি, চলচ্চিত্র ও মঞ্চে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা এবং গানের জগতেও টেলি সামাদের ছিল বিচরণ। ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনাও করেছেন তিনি। আর চার দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে টেলি সামাদ অভিনয় করেছেন ৬ শতাধিক চলচ্চিত্রে।