বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৯

যৌন হয়রা‌নি ও মারধ‌রের অ‌ভি‌যোগ করে বিপাকে নার্স


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফটোগ্রাফার সোহেল গাজীর বিরু‌দ্ধে যৌন হয়রা‌নি শারী‌রিক নির্যাতন ও প্রাণনা‌শের হুম‌কির অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন ঢাকা মে‌ডি‌কে‌ল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতা‌লের একজন নার্স। ওই নার্সের বিরুদ্ধে ঢামেক প‌রিচালকের কাছে মিথ্যে অ‌ভি‌যোগও দিয়েছেন সোহেল গাজী। এছাড়া বি‌ভিন্ন লোকজন দি‌য়ে ফোনে নানা ধরনের ভয়ভীতিও দেখা‌নো হ‌চ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

এ বিষয়ে জানতে আজ শুক্রবার রাতে বিএসএমএমইউ’র ফটোগ্রাফার সোহেল গাজীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সব দোষ তার একার নয়। ভুক্তভোগীরও দোষ আছে। বিষয়টি নিয়ে কাল তদন্ত কমিটি বসবে। তারা বিষয়টি তদন্ত করেছে। সেখানেই প্রমাণ হবে কে দোষী।

তবে এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সভাপতি ও বিএসএমএমইউ’র প্রক্টর অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা শিগগিরই বসছি। আর হুমকি-ধমকির বিষয়টি আমরা অবগত আছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়টির একটি সুরাহা হবে।

বিএসএমএমইউ ভি‌সি বরাবর দেওয়া অভিযো‌গে ভুক্তভোগী নার্স উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুবাদে অফিস পিয়ন থেকে ফটোগ্রাফার হওয়া সোহেল গাজীর সঙ্গে তার ২০১৩ সালে পরিচয় হয়। সো‌হে‌লের রুম নার্সদের হো‌স্টে‌লের পা‌শে থাকায়  অল্প সময়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে সোহেল গাজীকে তিনি বিবাহের প্রস্তাব দিলে সোহেল গাজী নানা টালবাহানা শুরু করেন। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় সোহেল গাজী বিবাহিত এবং সন্তানও আছে। এ বিষয়টি জান‌তে পেরে ভুক্তভোগী নার্স প্রতিবাদ করলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালান সোহেল। ওই নার্সের গলা টিপে ধ‌রে ফ্লো‌রে মাথায় আঘাত ক‌রে। এ ঘটনার পর চিকিৎসা শেষে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি (জিডি নং ৮৫৮)।

নির্যাতিতা নার্স বলেন, এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাব‌রে অ‌ভি‌যোগ করি। এরপর ঢাকা মে‌ডি‌কে‌ল কলেজ হাসপাতলে বদ‌লি হ‌য়ে আ‌সি। কিন্তু ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে এলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন সোহেল গাজীর নির্যাতনের শিকার ওই নার্স। এছাড়া সোহেল গাজী বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সোহেল ও তার সঙ্গীরা ভিসি বরাবরে দেওয়া অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও জানান ওই ভুক্তভোগী।

তি‌নি আরো ব‌লেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার পরও শা‌ন্তি‌তে চাক‌রি করতে দি‌চ্ছে না সো‌হেল। আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে হাসপাতালের প‌রিচালক বরাব‌র একটি মিথ্যা অ‌ভি‌যোগও দিয়েছে। পাশাপাশি বি‌ভিন্ন লোকজন দি‌য়ে ফোনে নানা ভয়ভী‌তি দেখা‌নো হ‌চ্ছে। ইন্টারনেট নাম্বার থেকে র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দিয়ে সোহেল গাজীর সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।  সর্বশেষ (+৮৮০৯৬১২১২০০০০) এই নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বিসয়টি আপসরফার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। যদি ভুক্তভোগী বিষয়টি মীমাংসা না করেন তাহলে তাকে দেখে নেবেন বলেও জানান। এমন পরিস্থিতিতে ভয় নিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ডিউটি করতে হচ্ছে তার।

এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিক জানান, সি‌নিয়র নার্স নির্যাতনের ঘটনার একটি আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে’। তদন্ত ক‌মি‌টির প্র‌তি‌বেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে ব‌লে জানান তিনি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১