এবারের ঈদুল ফিতরে নৌপথে যাতায়াত করা যাত্রীদের আসা-যাওয়া সন্তষ্টির মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় সদরঘাটে ঈদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি, তাতে সদরঘাট, শিমুলিয়া, আরিচায় লঞ্চ ও ফেরি স্বাভাবিকভাবে চলছে, আমরা সন্তুষ্ট। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হচ্ছে, সেগুলোর বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আশা করছি ঈদযাত্রা সন্তুষ্টির মধ্যেই শেষ হবে।

লঞ্চগুলোর প্রতিযোগিতার কারণে যাত্রীদের ঝুঁকির বিষয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক। অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে এটি হয়েছে। বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এই ঈদের উৎসবে অতিরিক্ত মুনাফা করতে গিয়ে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, বেদনার কারণ না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।

গার্মেন্ট ছুটি হলে বাড়তি চাপ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে চিঠি দিয়েছিলাম, যাতে তাদের গার্মেন্টগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া হয়, একদিনে যেন না দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গার্মেন্টগুলো একসঙ্গে ছুটি হচ্ছে। এতে বাড়তি চাপ পড়ে যাবে। তবে সেই চাপ মোকাবিলা করার প্রস্তুতিও আমাদের আছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের প্রায় ২০০ লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করছে। ১০০ লঞ্চ রিজার্ভ আছে। আমরা ভীত নই, যাত্রী সেবার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা নৌপরিবহনের সব সক্ষমতা ব্যবহার করছি।

অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের ভিআইপি কেবিনে অগ্নিকাণ্ডের পর সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এজন্য দুঃখিত। যাত্রী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেউ খর্ব করতে পারবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।