মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লাশবাহী গাড়ী আটকিয়ে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিকরা ৷

শ্রমিকরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলগামী একটি লাশবাহী পিকআপ ভ্যানকে ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলাসের পাড় নামক স্থানে কাগজপত্র চেকিং এর নামে থামায় হাইওয়ে পুলিশের সাতগাঁও ফাড়ির ইনচার্জ নান্নু মন্ডল৷সেখানে ওই গাড়ীর ড্রাইভারের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাঁদা দাবি করে, এবং লাশবাহী গাড়ীটিকে আটকে রাখে ৷ এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা সাড়ে দশটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে ৷

এতে ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গাড়ীর দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় ৷

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক এর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন ৷

ওসি আব্দুস ছালেক জানান, শ্রমিকদের অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন ৷

ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শাহাজান মিয়া বলেন, আজ যা ঘটেছে সেটা অমানবিক ৷ আমরা এ ঘটনার তদন্ত স্বাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই৷

এদিকে ওই রাস্তায় চলাচলকারী একাধিক গাড়ীর ড্রাইভার নান্নু মন্ডলের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আনেন ৷

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হাইওয়ে পুলিশ সাঁতগাও ফাঁড়ি ইনচার্জ নান্নু মন্ডল বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশের মূল দায়িত্ব নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা৷এই কাজ করতে গিয়ে আমরা নানা ধরনের যানবাহন আটকে রাখতে হয়। এসব গাড়ী না ছাড়ার কারণেই তারা আমার উপর এরকম ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে ৷