ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় লিটন ঘোষ (৫০) নামে একজনের কাটা মাথা নিয়ে থানায় হাজির হন লবু দাস (৪৬) নামের এক ব্যক্তি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে গৌর মন্দিরের নাট মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশের ধারণা, লবু মানসিক ভারসাম্যহীন। 

নিহত লিটনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামে। পুলিশের হেফাজতে থাকা লবুর (৪৬) বাড়ি নাসিরনগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন আগে লিটন নাসিরনগর উপজেলা সদরের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ভগ্নিপতি নেপাল ঘোষের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গতকাল দুপুরে উপজেলা সদরের গৌর মন্দিরের ভেতরে পূজা করার জায়গায় তিনি শুয়েছিলেন। এ সময় লবু ধারালো দা দিয়ে তার ঘাড়ে কোপ দিয়ে মাথা আলাদা করে ফেলেন। পরে সেই মাথা নিয়ে থানায় হাজির হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লিটনের দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, লিটনের ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করে মাথা কেটে তা নিয়ে লবু নিজেই থানায় হাজির হন। আমরা জানতে পেরেছি, এই ব্যক্তি ২০১২ সালে আরেকটি খুন করেছেন। তবে ওই ঘটনায় তার কোনো সাজা হয়নি। কেন হয়নি সে সম্পর্কে কিছু জানতে পারিনি। তবে লবু মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন