কুমিল্লার  নারায়ন চন্দ্র শীল নামে এক বৃদ্ধের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা পুলিশের নিকট হত্যার কথা স্বীকার করেছে। 

আজ বুধবার বুড়িচং উপজেলার মনিপুর গ্রামের দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

ধারের টাকা আত্মসাত করতে পরকীয়া প্রেমিক নারায়ণ চন্দ্র শীলকে হত্যা করা হয় বলে জানায় পরকীয়া প্রেমিকা উর্মিলা চক্রবর্তী সুমা।

আটকৃতরা হলেন : উর্মিলা চক্রবর্তী সুমা (৩২) ও তার ভাই শংকরকে (২৮)। তারা চান্দিনা উপজেলার পিহর গ্রামের গোবিন্দ চক্রবর্তীর সন্তান।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুন বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মনিপুর শীল বাড়ির নিখোঁজ নারায়ন চন্দ্র শীল (৬০) এর মেয়ে মনি রানী শীল তার পিতার নিখোঁজের বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজের সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে মঙ্গলবার উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার এলাকার আমির মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া উর্মিলা চক্রবর্তী সুমা (৩২) ও তাঁর ভাই শংকরকে (২৮) আটক করে।

পুলিশ আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে দু’জন নারায়ন চন্দ্র শীলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশের একটি দল আটককৃতদের নিয়ে লাশ উদ্ধারে যায়। বরুড়া উপজেলার বড় হাতুরা গ্রামের রাস্তার পাশে একটি ঝোঁপ থেকে বুধবার ভোরে অর্ধগলিত বস্তাবন্দি নিহত নারায়ন চন্দ্র শীলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশের জিজ্ঞসাবাদে উর্মিলা চক্রবর্তী সুমা জানান, নিহত নারায়ন চন্দ্র শীলের সাথে তার দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। সম্প্রতি নারায়ণ চন্দ্র শীল জমি বিক্রয় করে ৬ লক্ষ টাকা ধার স্বরূপ দেয় তাকে। মূলত এই টাকা আত্মসাৎ করার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে সে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৭ জন দুপুরে নারায়ণকে ফোন দিয়ে নিমসার তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় সুমা।

বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিখোঁজ জিডির সূত্রধরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে আসামিদের দেখানো স্থান থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নিহতের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।