আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০১৯
টেকনাফের স্থানীয় যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় শতাধিক বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা একটি রোহিঙ্গা শিবিরে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা অস্থায়ী ঘরবাড়ি ও এনজিও অফিসগুলোতে ভাঙচুর চালিয়েছে। আজ শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতারা টায়ার এবং প্লাস্টিকের বক্স জ্বালিয়ে টেকনাফ পৌরসভা থেকে লেদা পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদের বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরায় বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বড় ভাই ওসমান গণি অভিযোগ করেন, একদল রোহিঙ্গা তার ভাইকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর রোহিঙ্গাদের হাতে আরও দুজন স্থানীয় খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা এবং সাংবাদিকদের হয়রানির খবরও রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। অনেক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে দুই বার উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো প্রত্যাবাসন এখনো হয়নি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে যেতে রাজি না হওয়ায় এই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১