বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রী মারা গেলে তার পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওয়ার বিধান রেখে আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন-২০১৯-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মন্ত্রিসভায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন আইন ২০১৯-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এসব কথা জানান।

শফিউল আলম বলেন, বিমানের যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য আকাশপথে পরিবহন আইন করা হচ্ছে। আগে এ নিয়ে দেশে এ-সংক্রান্ত কোনো আইন ছিল না। ফলে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবার সামান্য ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। যদি মন্ট্রিল কনভেনশন অনুযায়ী আমাদের আইন থাকত, তাহলে যাত্রীর পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেত কয়েক গুণ বেশি। একেকজন কমপক্ষে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা করে পেত। এ বিষয়টি মাথায়  রেখেই বিমান যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে আইনটি করা হচ্ছে।

মন্ত্রিসভায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯-এর খসড়ার অনুমোদন হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে চামড়া বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী দ্বিতীয় খাত। ২০২৪ সাল নাগাদ আশা করছি পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হব। এই টার্গেট নিয়ে আমরা কাজ করছি। এই নীতিমালার আওতায় শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়ন নীতিমালা পরিষদ নামে ৪১ সদস্যের একটি পরিষদ গঠন হবে। আর শিল্প সচিবের নেতৃত্বে চামড়া এ চামড়াজাত পণ্যের নীতিমালা বাস্তবায়ন পরিষদ থাকবে ২০ সদস্যের।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, এই নীতিমালার আলোকে ট্যানারিশিল্প মালিকদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এবং প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। এ আইনের মাধ্যমে চামড়াশিল্পের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা সহজ হবে। দক্ষ ও কার্যকর সেক্টর গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এ আইন সহায়ক হবে।

এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন আইন ২০১৯ ও বাংলাদেশ ও চেক রিপাবলিকের মধ্যে রাজস্ব ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।