বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৯

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী

চামড়া নিয়ে শিক্ষা হয়েছে


চামড়া ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েও সেটা রাখেননি। পানির দরে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলেও সেটা কাজে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুিশ বলছেন, তিনি ‘শিক্ষা পেয়ে গেছেন’।

গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুিশ বলেন, এ বছর চামড়া নিয়ে আমার শিক্ষা হয়ে গেছে। ওই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছি আগামী বছরের জন্য। যাতে কাঁচা চামড়া

সংগ্রহ নিয়ে কোনো সংকট তৈরি করতে না পারেন ব্যবসায়ীরা। শুধু ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার অভাবেই এবার কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, কাউকে বিশ্বাস করা তো আমার অপরাধ নয়। কোরবানির আগে আমার এই কক্ষেই মিটিং করে চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন তারা সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনবেন। কিন্তু তারা সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়, তার জন্য চামড়ার বিষয়ে নীতিমালা অনুমোদিত হয়েছে। আশা করছি এমন সমস্যা আর হবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দাম স্বাভাবিক করতে পরবর্তীতে তাই কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা মানেননি। প্রান্তিক পর্যায়ে যাতে ব্যবসায়ীরা মূল্য পায় সে জন্য কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হবে আগামী বছর।

অন্যদিকে বাজারে সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, পেঁয়াজ আমদানিনির্ভর। ভারতে বন্যার কারণে ১২ টাকা কেজির পেঁয়াজ ২৫ টাকা হয়েছে। সেই প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়েছে। তবে যে পরিমাণে দাম বাড়ানো হয়েছে তাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না। ঈদের ১৫ দিন আগে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তখন আমাদের তদারকিতে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এখনো বাজারে মনিটরিং চলছে। আশা করছি পেঁয়াজের দাম নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা তৈরি হবে না।

এদিকে গত ১২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত মার্কোসুরভুক্ত চারটি দেশ (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে) সফর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এই সফরের বিস্তারিত বিবরণ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই চারটি দেশে ৩০ কোটি মানুষ বসবাস করে, যেখানে বছরে তিন দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি’র একটি সুবিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। এ অঞ্চলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা আছে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প বা আরএমজি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শুল্কহার বেশি। পণ্য রপ্তানি করতে আমাদের ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়।

টিপু মুিশ বলেন, সে কারণে এই চার দেশের সঙ্গে এফটিএ চুক্তি করতে পারলে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, ওষুধ, তামাক, চামড়া. চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই চার দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর ব্রাজিলের সাও পাওলোতে একটি মেলা হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১