আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৯
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ছাপড়াখালী এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘিনীটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। চোরা শিকারীদের হাতে বাঘিনীটির মৃত্যু হয়নি । বন বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদীন বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে বাঘিনীটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণের জন্য বন বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরীক্ষাগারে মৃত বাঘটির বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে। ল্যাব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে আরো স্পষ্ট হওয়া যাবে। শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের ছাপড়াখালী এলাকা থেকে গত ২০ আগস্ট ৭ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা ও সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতার পূর্ণ বয়স্ক মৃত বাঘিনীর মৃতদেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন বিভাগের টহল দলের সদস্যরা। বাঘিনীটি ছাপড়াখালীর বন্দেআলী খাল থেকে প্রায় ৫০ ফিট ভেতরে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। ঘটনার পর দিন উদ্ধার করা বাঘিনীর মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে ময়না তদন্ত ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে বন বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি সুন্দরবন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ডিএফও মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সুন্দরবন বিভাগের তদন্ত দল যে এলাকায় মৃত বাঘিনীটি পাওয়া গেছে সেখানে ঘুরে দেখেছে। বাঘিনীটি হত্যা করা হয়েছে বা বিষটোপ দেওয়া হয়েছিল এমন কোনো আলামত পায়নি। প্রকৃতিকভাবে বাঘিনীটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরেও ফরেনসিক ল্যাবের বাঘিনীটির বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত ও ল্যাবের প্রতিবেদন হাতে পেলে আরো বিস্তারিত বলা যাবে। সুুন্দরবন বিভাগ গঠিত তদন্ত দলের প্রধান শরণখোলার এসিএফ জয়নাল আবেদীন বলেন, ওই এলাকার প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা আমরা ঘুরে দেখেছি। কোথাও বিষটোপ বা ফাঁদ কিম্বা তেমন কোন নমূনা পাইনি। সেখানে বাঘ বা বন্যপ্রাণী ছাড়া কোন পায়ের ছাপও লক্ষ করা যায়নি। উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘিনীটির শরীরেও কোন বাহ্যিক আঘাত বা ক্ষত ছিল না। সরেজমিন অনুসন্ধান ও ময়না তদন্তকারী প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষটোপ বা শিকারীর দ্বারা বাঘটি হত্যা হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই বাঘটির সাধারণ মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। ২১ আগস্ট শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ে মৃত বাঘিনীটির ময়নাতদন্ত শেষে চামড়া সংরক্ষণ করে দেহাবশেষ মাটিচাপা দেওয়া হয়। সুন্দরবন এলাকায় প্রকৃতিক পরিবেশে বাঘের গড় আয়ু ১৪ থেকে ১৬ বছর বলছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। ২০১৫ সালের বাঘ শুমারিতে ১০৬টি বাঘ থাকার কথা জানা গিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে ১১৪ হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১