কঙ্গনা রানাউত, ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত বলিউডের এই নায়িকা। কোনো বিষয়ে মুখ খুললেই তাকে ঘিরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। এবার জীবনের প্রথম চুমু খাওয়ার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আলোচনায় এসেছেন কঙ্গনা রানাউত। তবে সেই অভিজ্ঞতা যে মোটেই মধুর নয়, তাও নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন তিনি।

কঙ্গনা বলেন, আমার প্রথম চুম্বন মোটেই স্বর্গীয় ছিল না। বরং পুরো বিষয়টাই যেন অগোছালো ছিল। ‘১৬-১৭ বছর বয়সে আমি প্রথম সম্পর্কে জড়াই। আমি তখন চণ্ডীগড়ে থাকতাম। আমার এক বন্ধু ডেটে গিয়েছিল। ওর প্রেমিকের বন্ধুর সঙ্গে আমি সম্পর্কে জড়াই। সেই কিউট পাঞ্জাবি পুরুষের বয়স তখন ২৮। আর আমি ১৬-১৭।’

কিন্তু সেই প্রেমের শেষটা মোটেই সুখের ছিল না কঙ্গনার জন্য। মন ভেঙেছিল কঙ্গনার। তিনি বলেন, ও আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল, তুমি তো বাচ্চা। ও বুঝেছিল এই খেলাটায় আমি নতুন। আমার মন ভেঙেছিল। আমি ওকে মেসেজ করতাম, আমায় একটা সুযোগ দাও। আমি বড় হয়ে যাব।

প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, আমি তখন চুম্বনও করতে পারতাম না। আমি নিজের হাতে চুমু খাওয়ার অভ্যাস করেছিলাম। তাই প্রথম চুম্বন মোটেও দারুণ ছিল না বরং অগোছালো ছিল। আমার মুখটাই জমে গিয়েছিল। তখন সেই ছেলেটা বলছিল, মুখটা একটু সরাও।

শুধু প্রথম প্রেমই নয়, প্রথম ক্রাশের কথাও বললেন কঙ্গনা। রিভালভার রানির প্রথম ক্রাশ ছিলেন তারই এক শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রথম এক শিক্ষকের প্রেমে পড়েছিলাম। ১৫-১৬ বছর বয়সে ছেলেদের সেভাবে গোঁফও ওঠে না। তাই আমার এক শিক্ষককেই ভালো লেগেছিল। আমি তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। তখন ‘চাঁদ ছুপা বাদল মে’ গানটি বেরিয়েছিল। আমি একটা ওড়না নিয়ে নাচতাম আর ওনার কথা ভাবতাম।

কয়েক বছর ধরেই কঙ্গনা রানাউত বলিউডের চর্চিত বিষয়। তিনি যে চরিত্রেই অভিনয় করেন না কেন, শতভাগ উজাড় করে দেন। ভিন্ন ভিন্ন সিনেমায় ভিন্ন ভিন্ন লুকে হাজির হয়ে দর্শকদের মুগ্ধতার চাদরে মুড়িয়েছেন বহুবার। সর্বশেষ চমকে দিয়েছিলেন ‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া’ সিনেমায়। এবার সেই কঙ্গনাকেই দেখা যাবে তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার বায়োপিকে। এই ছবির খবর এখন আলোচনার কেন্দ্রে।

শুরুর দিকে এ সিনেমার প্রধান চরিত্রের জন্য উঠে এসেছিল বহু তারকার নাম। কখনো শোনা গিয়েছিল কাজলের নাম, আবার কখনো বলা হয়েছিল বিদ্যা বালানকে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে এ সিনেমার জন্য। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্মাতাদের তরফে জানানো হয়েছে কঙ্গনাই চূড়ান্ত জয়ললিতার চরিত্রের জন্য।

ইতোমধ্যে ছবির জন্য নিজেকে তৈরি করা শুরু করে দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনার টিমের তরফে বেশকিছু ছবি পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তার প্রসথেটিক মেজারমেন্ট হচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের জেসনকলিনসের স্টুডিওতেই চলছে প্রসথেটিক মেজারমেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। এদিকে রাজনীতিবিদ হওয়ার আগে জয়ললিতা ছিলেন একজন অভিনেত্রী। ছবিতে সে বিষয়টিও দেখানো হবে। শোনা যাচ্ছে, কঙ্গনা একটি গানের শুট করবেন যেখানে থাকবেন প্রায় ১০০ ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী। সেই গান কোরিওগ্রাফি করছেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার গায়ত্রী রঘুরাম।