বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০১৯

১৮ চরের মানুষকে সরিয়ে নিতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র

ফারাক্কা বাঁধের ১০৯ গেট খুলে দেওয়ায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধি


অসময়ের বৃষ্টিতে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে চর অধ্যুষিত নাটোরের লালপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের নীচু এলাকা ও বিভিন্ন শতকালীন আগাম ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া চর এলাকায় আবাদকৃত নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের ৪০ একর জমির আখ পানিতে তলিয়েছে। এতে ২২.২৫ হেক্টর জমির ফসলহানির পর ফারাক্কা বাঁধের ১০৯ টি গেট খুলে দেওয়ার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলো হলো লালপুরের ঈশ্বরদী, বিলমাড়িয়া ও লালপুর সদর ইউনিয়নের একাংশ। তবে তীর রক্ষায় ইতোমধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লালপুর সদর ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জিও ব্যাগ ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নাটোরের লালপুরের পদ্মাতীর সংলগ্ন আরো বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩টি ইউনিয়নের ১৮টি চরে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নিতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। বর্তমানে এই তিনটি স্তরে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

নাটোর উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি লক গেট খুলে দেওয়ার কারণে সোমবার দুপুর থেকেই লালপুরের পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ৩টি ইউনিয়নের ১৮টি চরের সব ফসল তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়ি-ঘরে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত স্থানীয় কৃষি বিভাগ ২২হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে।

তবে নর্থবেঙ্গল চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর সুগার মিলটি চিনি উৎপাদনে যাবে। এই মিলের বেশির ভাগ আখের চাহিদা মেটানো হয় পদ্মার চর থেকে। কিন্তু মিল শুরুর আগ মুহুতে চরে থাকা ৪২ একর জমির আখ তলিয়ে গেছে। এতে করে চিনি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেওয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিলমারিয়া, লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের কাছে ত্রাণ চেয়ে চিঠি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ১৮ চরে বসবাসকারী মানুষরা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ চরের মধ্যেই অবস্থান করছে। আমরা তিনটি ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি, সেখানে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

নাটোর উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, লালপুরের পদ্মা নদীর পানি চারঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া হার্ডিঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা বরাবর অবস্থান করছে। প্রতিনিয়ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী ৩ অক্টোবর পিবদসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১