টেকনাফে পুলিশ ও 'অস্ত্রধারী ডাকাত দলের' সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ডাকাত ছলিম নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৩ পুলিশ সদস্য।

বুধবার  ভোররাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত ওই ইউনিয়নের চাকমারকুল এলাকার কাদির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন চাকমারকুল এলাকার কাদির হোসেনের ছেলে মো. সেলিম প্রকাশ ছলিম ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ২৩ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে হোয়াইক্যং ইউপির কেরুনতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে ওৎপেতে থাকা মাদক কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে এসআই আরিফুর রহমান,কনেস্টেবল আব্দুর শুক্কুর ও মেহেদী গুরুতর আহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ হয় মাদক কারবারী সেলিম প্রকাশ ছলিম ডাকাত (৩৪)। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস  জানান, নিহত যুবক ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং মাদক কারবারে জড়িত।

তিনি বলেন, টেকনাফ উপজেলায় যে সমস্ত অপরাধীরা ডাকাতি,সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীদের নির্মূল করতে পুলিশের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দেশীয় তৈরী ১টি এলজি (অস্ত্র),৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ,৭ রাউন্ড খালি খোসা ও ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।