বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২০

‘মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না’


আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা কিংবা অন্য কোনো কার্যক্রমে মন্ত্রী-এমপিরা অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান তিনি। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় ছিলেন কমিশনার তালুকদার। এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। মাহবুব তালুকদার বলেন, দুটি বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ। এ বিষয়ে আমরা বলেছি, বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। অতিগুরুত্বসম্পন্ন কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে আমরা বলেছি, বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।

মাহবুব তালুকদার বলেন, অতিগুরুত্বসম্পন্ন সংজ্ঞায় যেসব বিষয় তার মধ্যে এমপি, মন্ত্রীরা পড়েন। আইনত তারা নির্বাচনী প্রচারকার্যে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনী প্রচারকাজ নয়, কোনো নির্বাচনী কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারবেন না। তবে তারা যার যার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। এ ছাড়া ইভিএম কীভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সব কেন্দ্রের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম থাকবে। ইভিএম আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। উত্তর ও দক্ষিণে দুইজন সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী দায়িত্বে আছেন তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচারে মন্ত্রী-সংসদ সদস্য সুযোগ চাওয়া হয়েছে কি- না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম তাদের আইন বের করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যে তারা পারবেন না। তারাই এতে আশ্বস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনটি আমাদের কাছে অনেক চ্যালেঞ্জের। কেননা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আমরা ভোট করছি। কাজেই ভোটারের উপস্থিতি একটা চ্যালেঞ্জ। ভোটার উপস্থিতি কম হলে হবে না। আমরা চাই, ব্যালট পেপারের মতো ইভিএমের ভোটারের উপস্থিতি হোক।

ইসি সহযোগিতা চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব দলকে বলব, তাদের সবার সহায়তা আমাদের দরকার। আপনার ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আমাদের সফলতা নির্ভর করছে ভোটার উপস্থিতির ওপর। এটা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১