চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৩টি ও শাহরাস্তিতে ১টি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সাথে ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে অবৈধভাবে চালানোর অভিযোগ ভ্রাম্যমান আদালত এসব ব্রিক ফিল্ড গুড়িয়ে দেয় । এ সময় টি ব্রিকফিল্ডের মালিমক পক্ষকে ৪৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস অংশগহণ করেন।

আজ সোমবার ১১টায় হাজীগঞ্জের আলিগঞ্জ এলাকায় মেসার্স কামাল ব্রিক্স, ১টায় রনি ব্রিক্্স ও মেসার্স এমবিএম বিক্্স ও বিকেলে শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিক্্স ফিল্ডে- এ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ইট ভাটাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযানকালে মেসার্স কামাল ব্রির্কসের সত্ত্বাধিকারী শাহজাহান বেপারী ও কামাল বেপারীকে ৬ লাখ টাকা, মেসার্স বসিরউদ্দিন মজুমদারকে ৬ লাখ টাকা এবং রনি বিক্্স ফিল্ডকে ৬ লাখ টাকা এবং শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিক্্স ফিল্ডকে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আবদুল গণি ব্রিক ফিল্ড কর্তৃপক্ষের হাইকোর্টে মামলা চলমান থাকায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ও ২০ লাখ টাকা মামলা নিস্পত্তির পরে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদফতরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীদ আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচ এম রাসেদ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচ এম রাসেদ বলেন, মেসার্স কামাল ব্রিক্্স, মেসার্স বসিরউদ্দিন মজুমদার ব্রিক্স এবং রনি বিক্স ফিল্ড, শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিক্স ২০১২ সাল থেকে অবৈধভাবে ইটভাটা চলছে। আমরা তাদের নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও তারা ইটভাটা বন্ধ করেনি। তাই পরিবেশ অধিদপ্তের নিয়মানুসারে ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীম আহমেদ বলেন, মেসার্স কামাল ব্রিক্স, মেসার্স বসিরউদ্দিন মজুমদার ব্রিক্স এবং রনি বিক্স ফিল্ড, শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিক্্স মোট ৪টি ব্রিক্স ২০১২ সাল থেকে অবৈধভাবে চলছে। এছাড়া তারা যে স্থান থেকে মাটি কাটছে তাও অবৈধ। তারা সরকারি নিয়ম না মানায় ৬ লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিক্স ফিল্ড নিয়ম না মেনে ইট পোড়ানোর দায়ে তাকে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।