বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২০

'রাজনৈতিক পরিচয় নয়, রোগী হিসেবেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে'

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফাইল ছবি


রাজনীতি বা ব্যক্তিগত পরিচয় বিবেচনায় নয়, একজন রোগী হিসেবেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড আন্তরিকতার সাথে সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার বিষয়ে রাজনীতি বা ব্যক্তিগত পরিচয় বিবেচনায় না এনে একজন রোগী হিসেবে বিবেচনা করেই সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ( হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হকের নামে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় তার চিকিৎসা সংক্রান্ত যেসকল তথ্যাদি প্রচার করা হয়, তা মিডিয়ার নিজস্ব সংগৃহীত তথ্য ও বক্তব্য। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকবৃন্দের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , প্রায় ১০ মাসে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার কেনো কোনো ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে এবং কোনো কোনো রোগ স্থিতিশীল রয়েছে। দাঁতের ব্যথা ভাল হয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতার উন্নতি হয়েছে।

এর আগে, ২০০৯ ও ২০১২ সালে খালেদা জিয়ার উভয় হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নী-রিপ্লেসমেন্ট করা হয় উল্লেখ করে বলা হয় , আর্থাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের পক্ষ থেকে আধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ভ্যাকসিন নেয়া, বায়োলজিকস ও অন্যান্য আধুনিক মেডিসিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়।

কিন্তু কয়েক মাস ধরে মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ আর্থ্রাইটিসের উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করে গেলেও তিনি এখন পর্যন্ত আথ্রাইটিসের ঐ সকল আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণে সম্মতি জ্ঞাপন করেননি। ফলে আর্থাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না।

 

ডায়াবেটিস, আর্থাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য না হলেও যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার লক্ষ্যে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তিকালীন সময়ে তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ), আর্থ্রাইটিস (অস্থিসন্ধির ব্যথা), দাঁতের ব্যথা, কাফ ভেরিয়েন্ট এ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।

এই মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান হলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডীন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জিলন মিঞা সরকার। বোর্ডে বিশিষ্ট রিউমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হকসহ আরো তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন।

এর আগে মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী আরো দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা হলেন বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোঃ ফরিদ উদ্দিন এবং অন্যজন বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ।

এতে করে বর্তমানে মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা সাতজন। এ ছাড়াও বোর্ডের সুপারিশক্রমে আরো দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক- মনোরোগ ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ তার চকিৎসাসেবায় সর্ম্পৃক্ত রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ শামীম আহমেদ (রিউমাটোলজিস্ট) ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুনুর রহমান (কনসালটেন্ট-কার্ডিওলজি বিভাগ) নিয়মিত মেডিক্যাল বোর্ডের সাথে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করে যাচ্ছেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১