আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
চীন চেয়েছিল- গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পবিত্র কুরআনকে সংস্করণ বা পুনর্লিখনের উদ্যোগ নিতে চেয়েছিল চীন সরকার। পবিত্র কুরআনকে সংস্করণ করার বিষয়ে খবর ডেইলি মেইলকে চীন বলেছিল, “নতুন সংস্করণে রাখা হবে না এমন কোনো বিষয়বস্তু, যা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায়।” এর দেড় মাস যেতে না যেতেই ভয়াভহ চীনকে দেখছে পুরো বিশ্ব। নতুন আতঙ্ক করোনাভাইরাস-এ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে চীনের ১০০০ এর ও বেশি মৃত্যু হয়েছে। আর দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন কারণ কর্তৃপক্ষ এক কোটিরও বেশি মানুষের শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে এবং লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ভয়ে-আতংকে বাতিল হয়ে যাচ্ছে বিয়ের তারিখ। খাবারের অভাবে কোনরকম দিন পার করছে মানুষজন। এক সুত্রে জানা যায়, যে চীনারা রেস্টুরেন্টে ফাস্টফুড খেয়ে দিন কাটাত আজ তাঁরা একবেলা একটা সিদ্ধ আপেল খেয়ে দিন পার করছে। পবিত্র কুরআনকে সংস্করণের দেড় মাসের মাথায় চীনের এমন পরিস্থিতি দেখে মুসলমানদেরও সাবধান হওয়া উচিত, কুরআনের বিধান মেনে চলা উচিত। কারণ, “চীন চেয়েছিল পবিত্র কুরআনকে পরিবর্তন করতে, কিন্তু মহান আল্লাহ্ তাআলা পুরো চীনকেই পরিবর্তন করে দিলেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ তাআলা বলেন,“আমি স্বয়ং কুরআন কে নাজিল করেছি এবং আমি নিজেই এর হেফাজতকারী”(সুরা হিজরঃ আয়াত ৯) করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে চীনে। কেবল চীনে নয়, এই ভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চীন ছাড়াও বিভিন্ন দেশে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা গেছে। তবে এর মধ্যেই আশ্চর্য একটি খবর পাওয়া গেছে। আর তা হলো উইঘুর মুসলিরা করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রয়েছে। অথচ যে পরিবেশ রাখা হয়েছে, তাতে করে তাদেরই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা ছিল বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও করোনা বাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। তারই মধ্যে চিনের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল উইঘুর মুসলিমদের বন্দি শিবির। চীনের জিনঝিয়াং প্রদেশে মগজ ধোলাইয়ের নামে বিভিন্ন বন্দি শিবিরে উইঘুর মুসলিমদের রাখা হয়েছে মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ইতিমধ্যে এটাকে মহামারি ঘোষণা করেছে। পুরোপুরি অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে করে দেওয়া হয়েছে চীনের উহান ও হুবেই শহরসহ আরো কয়েকটি শহর। শুধু চীন নয় আক্রান্ত ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, হংকংসহ বিশ্বের প্রায় চব্বিশটি দেশ। উইঘুর বন্দিশিবিরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রসঙ্গে সম্প্রতি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের অন্যান্য এলাকার তুলনায় উইঘুর মুসলিমরা করোনার গ্রাস থেকে অনেকটাই রেহাই পাচ্ছেন। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমরা যেহেতু হালাল খাদ্য খেয়ে থাকেন, সেটা তাদেরকে করোনা ভাই’রাস থেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখেছে। যদিও করোনা ভাইরাস যেহেতু সংক্রামক, তাই তাতে উইঘুররা আক্রমণের শিকার হবেন না এ কথা হলফ করে বলা যাবে না। আশঙ্কা থেকেই যায়। কিন্তু তারা যে এখনো করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত সেকথা স্পষ্ট জানিয়েছে সিএনএন। এ ব্যাপারে জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের চৈনিক ইতিহাসের অধ্যাপক জেমস মিলওয়ার্ড উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্যুইটারে বলেছিলেন, বন্দি শিবিরে যা খারাপ অবস্থা, অস্বাস্থ্যকর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে উইঘুর মুসলিমরা থাকছে তা নজরদারির প্রয়োজন। তাদের প্রতি চিন সরকারের অবহেলার কথা উল্লেখ করে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে করোনা ভাই’রাস থাবা বসাচ্ছে তাতে উইঘুর বন্দি শিবির মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠতে পারে। এই ব্যাপারে তাই ট্যুইটোরে ভাইরাস থ্রেট ক্যাম্পস নামে হ্যাশট্যাগ চালু করা হয়েছে। তবে আশ্চর্যভাবে করোনা ভাইরাসের থাবা এখনও প্রবেশ করেনি উইঘুর বন্দিশিবিরগুলোতে।
এদিকে করোনাভাইরাসের থাবায় যেন অচল হয়ে যাচ্ছে চীন। দুর্বিষহ পার করছে এক একটা দিন। একসময় গণপরিবহনে অনেক সময় যাত্রীরা না বুঝেই পরিচ্ছন্ন আসনে বসে পড়তো এবং পরে দেখা যেতো তার ট্রাউজার ধবধবে সাদা।
হালাল খাবারেই করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাচ্ছে চীনের মুসলিমরা
সেখানে উইঘুর মেয়েদের জোর করে বন্ধ্যা করে দেয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের ধর্মীয় আচারবিধি পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে যখন প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমের দিন কাটছে তখন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছিল। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে চীনসহ সারাবিশ্বে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
উল্লেখ্য, চীনাদের প্রিয় খাদ্য আরশোলা, টিকটিকি, ইঁদুর, ব্যাঙ ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ। আর সেগুলোই মারাত্মক ভাইরাস বহন করে থাকে। মুসলিমরা এই সব খাদ্য ধর্মীয় নিষেধের কারণে খান না। তাদের হালাল খাদ্যই পছন্দ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১