মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আসছেন। গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সফর স্থগিত হওয়ার খবর ছড়ালেও ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) তিনি ঢাকা আসছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক থেকেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুখবর প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর বুধবার ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সফরটি কয়েকদিন পেছানো হয়েছে। তিনি আসছেন আগামী শনিবার। ঢাকায় মালয়েশিয়ার দূতাবাসও কুলাসেগারানের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শ্রমবাজার বিষয়ে বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কর্মসূচি রয়েছে এম কুলাসেগারানের। তার এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

মালয়েশিয়া হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শ্রমবাজার। ২০১২ সালে দুদেশের মধ্যে জিটুজি পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর চুক্তি হলেও সে প্রক্রিয়া পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। এরপর

২০১৬ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর। এ পদ্ধতিতে পাঁচ খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। তবে এ চুক্তির আওতায় মাত্র ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এসব এজেন্সির কাছ থেকে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানি কর্মী নিতে পারত।

জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে সরকারি খরচ ৪০ হাজারের কম নির্ধারিত হলেও জনপ্রতি চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা করে নেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এ চক্রের তৎপরতার কারণে দুদেশের নেতৃত্ব পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। বাজারটি পুনরায় উন্মুক্ত করতে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মালয়েশিয়া যান প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ। ওই সফর শেষে দুদেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির চতুর্থ বৈঠক ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সে বৈঠকও স্থগিত করে মালয়েশিয়া।