বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মহাদেবপুরে নতুন তরমুজের আমদানি হলেও বিক্রি কম


নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা শহরের বাজারে চলতি মৌসুমে নতুন তরমুজের আমদানি হলেও বিক্রি না হওয়াই ব্যবসায়িরা চরম হতাশায় ভুগছেন। উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের তাতারপুর গ্রামের দেবেন কুমার মন্ডলের পুত্র তরমুজ ব্যাবসায়ি সুজন কুমার মন্ডল জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে মহাদেবপুর বাজারে নতুন তরমুজ লাভের উদ্দেশ্যে জয়পুরহাট থেকে পিকাপে করে ২ শত ৫০পিচ তরমুজ কিনে নিয়ে আসেন । যা মূল পাইকারেরা ট্রাকে করে বরিশাল জেলা থেকে জয়পুরহাটে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মহাদেবপুরের ব্যবসায়িরা ১৭শত থেকে ১৮শত টাকা মণ দরে পাইকারি কিনে নিয়ে এসে ২ হাজার ৩শত টাকা থেকে ২ হাজার ৪শত টাকা পর্যন্ত খুচরা প্রতি মণ বিক্রি করেন।

গত বছর এই সময়ে সপ্তাহে ১৫০০ থেকে ২ হাজার পিজ তরমুজ কিনে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে । তুলনামূলক এ বছর গত সপ্তাহে গড়ে ২৫০ পিজ তরমুজ কিনে এনে বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০০পিজ। এ বিষয়ে তরমুজ ব্যবসায়ি সুজন কুমার জানান, গত দুই সপ্তাহে তরমুজ ব্যবসায় তার লাভ না হলেও আগামীতে লাভের আশায় এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি চরম হতাশার সুরে আরো জানান, এ বছর তরমুজ কিনার তেমন ক্রেতাই নেই । গত বছরগুলোতে এ ব্যবসা করে তাদের ৩ মাসের পুরো সিজিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল যা দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার খরচসহ পরিবার সুন্দর ভাবে চলতো। কিন্ত এ বছর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ২ সপ্তাহে লাভের মুখ দেখিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার হেলালপুর গ্রামের তরমুজ ক্রেতা আব্দুর রশিদ এর সাথে কথা বলে যানা গেছে, তারা গত বছরগুলোতে পর্যাপ্ত তরমুজ কিনে খেয়েছেন কিন্তু এ বছর আজকেই প্রথম ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনলেন। কারন হিসাবে তিনি জানান গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের দাম বেশি ও হালকা শীত থাকায় ইচ্ছা থাকলেও গতবছরগুলোর মত পর্যাপ্ত তরমুজ কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১