বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে ঘরমুখো হাজারো মানুষের ঢল


করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণায় কর্মস্থল বন্ধ হওয়ায় ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী হাজারো মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়াঘাটে। ঈদের ছুটির মতো মানুষজন গ্রামের বাড়িতে রওয়ানা দেয়।

কিন্তু শিমুলিয়াঘাটে ফেরি ও ট্রলার ছাড়া সকল নৌযান চলাচল গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভীষণ বিপাকে পড়ে ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা থেকে ভেঙে ভেঙে বাসে করে শিমুলিয়াঘাটে এসে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষ পড়ে চরম ভোগান্তিতে।

ঢাকা থেকে শিমুলিয়াঘাটে ৭০ টাকার ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে যাত্রীদের। আজ বুধবার সকালে শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকে, বিকেলে তা চরম আকার ধারণ করে। মাওয়া কোস্টগার্ড বড়ো ট্রলারে ২০ জন ও ছোট ট্রলারে ১০ জন করে যাত্রী ওঠানোর মাইকিং করে ঘোষণা দিলেও যাত্রী ও ট্রলার মালিকেরা তা মানতে চাইছে না।

আজ বুধবার বিকেলে শিমুলিয়াঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস, লঞ্চ ও সিবোটগুলো অলস পড়ে আছে। ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় আছে পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স।

অন্যদিকে ট্রলার চলাচল নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকায় ফেরির চেয়ে মানুষজন পারাপারে ট্রলারকেই বেছে নেন। তাই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ট্রলারে চেপে গন্তব্যে যাত্রা করে।

ঢাকার রামপুরা থেকে বরিশালগামী যাত্রী পারভেজ (২৭) পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসতে কয়েকটি বাস বদল করতে হয়েছে। এজন্য আমাকে ভাড়া গুনতে হয়েছে প্রায় তিনশ টাকা।

কাউসার (৩৫) নামে ভোলাগামী যাত্রীকে করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঢাকা ছেড়ে কেন যাচ্ছেন প্রশ্ন করলে তিনি জবাবে জানান, 'ঢাকায় বন্দি থাকার চেয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো অনেক ভালো।

শিমুলিয়ার ফেরি ও ট্রলারঘাটে বিপুল মানুষের সমাগম করোনাভাইরাস মোকাবেলার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এভাবে গাদাগাদি করে মানুষের ছুটে চলাকে ছুটি কাটাতে দূরে যাওয়ার মতো মনে হয়েছে, যা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কোন কাজেই আসবে না।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১