বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২০

চেয়ারম্যানের নামে বিধবাকে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ

নির্যাতিত রোজেয়া বেওয়া প্রতিনিধির পাঠানো ছবি


জেলার আদিতমারী উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের নামে ঘুষের অভিযোগ দেয়ায় রোজেয়া বেওয়া (৩৬) নামে এক বিধবা নারীকে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি ঈদগা মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত রোজেয়া বেওয়া ওই এলাকার মৃত সহিদার রহমানের স্ত্রী।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী বিধবা রোজেয়া বেওয়াকে দুর্যোগ সহনীয় প্রকল্পের একটি বাড়ি দেয়ার প্রস্তাব দেন। যা পেতে উপজেলায় কয়েকটি টেবিলে টাকা দিতে হবে অজুহাতে বিধবার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেন ওই চেয়ারম্যান। প্রকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে রোজেয়া বেওয়ার ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী। কাজের শুরুতেই বিধবার কাছ থেকে বালু ও রড কিনে নেন। এ ছাড়াও নির্মান কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের খাওয়ানোর ব্যবস্থাও বিধবাকে করতে বাধ্য করেন। এত টাকা খরচ করেও ঘরটি নিম্নমানের সামগ্রীতে তৈরী করায় নির্মান কাজ শেষ না হতেই ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। এ বিষয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন গত সোমবার সরেজমিনে তদন্ত করেন।

এ ঘটনায় ঘুষ গ্রহনের বিচার ও ঘরটি পুনরায় নির্মানের দাবি করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রমানসহ ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিধবা রোজেয়া বেওয়া। অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও।

গত মঙ্গলবার বিকালে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল থেকে ফিরলে চেয়ারম্যানের লোকজন দলবলে ওই বিধবাকে মার ডাং শুরু করেন। তাকে বাঁচাতে এসে মার ডাং-এর শিকার হন বিধবার ভাই জাহেদুল ইসলাম (২৮)। পরে স্থানীয়রা তাদের দুই ভাইবোনকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিধবা রোজেয়া বেওয়া বলেন, তদন্ত কমিটির অফিসার চলে যাওয়ার পরপরেই চেয়ারম্যানের লোক মাহাবুল দলবলে বাড়িতে এসে আমাকে ও আমার ভাইকে মারতে থাকে। পরে প্রতিবেশি লোকজন এসে আমাদের বাঁচায়।

পলাশী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, আমার লোকজন মার ডাং করেনি। শুনেছি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় তারই প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. বিশ্বজিৎ কুন্ড বলেন, বিধবা শরীরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের দুই ভাইবোনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, আহত বিধবার পরিবার শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। চেয়ারম্যানের ঘুষের বিষয়টি তদন্ত চলছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১