আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২০
ঢাকায় এক র্যাব সদস্যের করোনা পজেটিভ হওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফে শ্বশুর বাড়িসহ ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ৭টি দোকান ও ৮টি বাড়ি রয়েছে। জানা যায়, গত ২০ মার্চ হতে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা থেকে আক্কাস নামে এক র্যাব সদস্য টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ায় শ্বশুড় বাড়িতে ছিলেন। এখানে সে জ্বর স্বর্দিতে ভোগেন। তখন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভালোও হয়ে যান। এরপর সে গত ২৬ মার্চ টেকনাফ থেকে ঢাকায় চলে যায়। পরে ঢাকায় আবার স্বর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়। এরপর ৩ এপ্রিল ঢাকায় পরীক্ষা করলে তার কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। তারই সূত্র ধরেই শুক্রবার রাতেই টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে এসব বাড়ি ও দোকানগুলো লকডাউন ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলে বলেন, শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকা এক র্যাব সদস্যকে ঢাকায় হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা টেকনাফের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। শনিবার বাড়ির লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হবে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় করোনা শনাক্ত র্যাব সদস্যের শ্বশুড় বাড়ি টেকনাফে। কিছু দিন আগে সে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন। ফলে তার সংস্পর্শে আসা ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন ঘোষনা করা হয়। এদিকে সাবরাং ইউনিয়নে কোয়ারান্টাইনে থাকা সৌদি ফেরত আনোয়ার হোসেন জ্বর-স্বর্দিতে ভুগছেন। তারও শনিবার নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানান ডা. টিটু চন্দ্র শীল।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ও দোকান গুলো লকডাউন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বিষয়টি নিশ্চত করেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১