বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২০

হাজীগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া করোনায় আক্রান্ত

হাজিগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া ফাইল ছবি


চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । আজ বুধবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়।

চাঁদপুরে বুধবার দু’দফায় ৪২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে । এর মধ্যে ৪০েজনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। দুই জনের রিপোর্ট পজেটিভ। জেলায় এ পর্যন্ত ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

গত ২৭ এপ্রিল ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়ার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২৮ এপ্রিল ঢাকার শিশু হাসপাতালে টেস্ট করা হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বুধবার দুপুরে ওই রিপোর্ট চাঁদপুরের সিভিল সার্জন অফিসে এসেছে।

দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই চাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈশাখী বড়ুয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমে বেশ সরব ছিলেন। তার নেতৃৃত্বে হাজীগঞ্জ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

হাজিগঞ্জ ইউএনও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাহী কর্মকর্তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তাই এখন তিনি সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন।

অপর করোনায় আক্রান্ত ৩৭ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়িও হাজীগঞ্জে। এখনো তিনি নিজ বাড়িতে আছেন। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ (বুধবার) ডাক্তার তার বাড়িতে গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন ওই যুবক হাসপাতালে নাকি বাসায় চিকিৎসা নিবেন।

এ নিয়ে চাঁদপুর জেলার মোট ৩০১ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট নুমনা প্রেরণ করা হয়েছে ৩০৬জনের। প্রেরিত নমুনার মধ্যে এখনো অপেক্ষমান ১১জনের রিপোর্ট। এছাড়া বুধবার সংগৃহীত আরো ১৭ জনের নমুনা আজ বুধবার ঢাকা প্রেরণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষমান রিপোর্টের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮।

প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ১৫জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

এছাড়া ঢাকায় সনাক্ত হওয়া ১জন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি থাকায় বর্তমানে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭।

মৃতের বাইরে আক্রান্ত অন্য ১৪জনের মধ্যে ৭জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি/বাসায় ফিরেছেন। এর মধ্যে একজন মতলব উত্তরে জেলার প্রথম সনাক্তকৃত নারায়ণগঞ্জ ফেরত করোনা রোগী ও অন্যজন ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার। চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডের একই পরিবারের তিনজন, ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনিশিয়ান ফারুক এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়ার নান্নু ।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১