বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১০ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস যেন সবচেয়ে শক্তিশালী: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্ব জুড়েই অচলাবস্থা চলছে। পাশাপাশি মৃত্যু এসে হানা দিচ্ছে। যদিও এখানে সুস্থতার সংখ্যা অনেক বেশি তারপরও মানুষের ভেতরে এক ধরনের আতংক বিরাজমান।’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস যেন আজকে সবচেয়ে শক্তিশালী। আর প্রকৃতি যেন তার প্রতিশোধ নিচ্ছে’।

তিনি প্রয়াত সাংসদদের জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠানের অতীত রেওয়াজ স্মরণ করে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের অনেক বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা চলে গেলেন যাদের জানাজাও আমরা পড়তে পারলাম না। তাঁদেরকে আমরা দেখতে যেতে পারিনি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের কাছে যে যাব বা তাদের ডেকে এনে যে একটু সহানুভূতি জানাব, সেটাও করতে পারিনি।’

আজ বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ৮ম (বাজেট) অধিবেশনে প্রয়াত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে গৃহীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

করোনা পরিস্থিতিতে আজ থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। কাল ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সমাজের সকল শ্রেণী এমনকি যারা অবহেলিত এবং অগোচরে থেকে যায় তাঁদেরও যাতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোন কষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যারা সমাজের সকলের দৃষ্টিগোচর হয় না, অগোচরেই থেকে যায় সেই বিশাল জনগোষ্ঠীর দুঃখ-কষ্টও যাতে একটু লাঘব করা যায় সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাদের কাছে কিছু (খাবার) পৌঁছে দেয়া এবং তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।’

করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিটি মানুষের খবর নিয়ে তাদের ঘরে খাবার পৌঁছানো, তাদের বাড়িতে কিছু নগদ টাকার ব্যবস্থা করা, এমনকি এতিমখানা ও মসজিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গার মানুষ এমনকি রিকশার পেছনে যারা চিত্র এঁকে জীবিকা নির্বাহ করে, সাংস্কৃতিক কর্মী বা সাংবাদিক প্রত্যেককে খুঁজে খুঁজে বের করে আমরা সাহায্য করছি।’

শিল্পীদের পাশাপাশি সহ-শিল্পীদেরকেও যেন সহায়তা দেয়া হয় সেজন্য তাঁর সরকার ইতোমধ্যেই তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার মধ্যে আসলো আবার ঘুর্ণিঝড় আম্পান। তখনো আমরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসি। শিশু থেকে শুরু করে ৬ লাখ গৃহপালিত পশু-পাখিকে আশ্রয় এবং খাদ্যের ব্যবস্থা আমরা করেছি। সবই করেছি এই করোনাভাইরাসের নিয়ম মেনে।’

এক্ষেত্রে প্রশাসন, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশ¯্রবাহিনী, আনসার-ভিডিপি, বিজিবি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা প্রত্যেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১