আপডেট : ২৫ জুন ২০২০
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত টেক্সটাইল কারখানার একজন শ্রমিক জ্বর, গলাব্যাথা ও ঠাণ্ডাসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) নমুনা দেন। গত শুক্রবার তার ফলাফল করোনা ‘পজেটিভ’ আসে। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে একটি মেস বাসায় পৃথককক্ষে আইসোলেশনে রাখেন। গত সোমবার রাতে ওই কর্মী আইসোলেশন থেকে পালিয়ে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসায় চলে আসেন। বাড়িতে এসে মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রমিত ওই পোশাককর্মী শ্বশুরবাড়ি বেড়িয়েছেন, ঘুড়ি উড়িয়েছেন, সারাদিন বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়েও ঘুরেছেন। বুধবার সকালে ওই কারখানা থেকে খবর দেওয়া হয় সে কর্মী করোনা ‘পজিটিভ’। সে মেস বাসা থেকে আইসোলেশন থাকা অবস্থায় পালিয়ে এসেছেন। সখীপুর পৌরসভার মেয়র আবুহানিফ আজাদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই রোগী জানান, চলতি মাসের ৩ জুন ওই সে ঢাকার ওই কারখানায় যোগ দেন। গত ১৭ জুন তার গলাব্যাথা, ঠান্ডা, জ্বর অনুভব হলে সে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) গিয়ে নমুনা দেন। গত শুক্রবার তার করোনা পজেটিভের খবর আসে। ওই কারখানার পক্ষ থেকে একটি ম্যাচে পৃথককক্ষে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়। গত সোমবার রাতে ওই ম্যাচ থেকে আমি সখীপুর চলে আসি। আমি আমার বাড়িতে পৃথককক্ষে আইসোলেশনে রয়েছি। বুধবার ওই কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে করোনা ‘পজেটিভ’ হওয়ার বিষয়টি তাঁর গ্রামের বাড়িতে জানিয়ে দেন। কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর একজন বন্ধু বলেন, কোভিড শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি সে সবার কাছে গোপন রাখে। মঙ্গলবার সে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। বিকেল বেলায় বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলেও বেড়িয়েছেন। কিছুক্ষণ ঘুড়ি উড়িয়েছেন। রাতের বেলাতেও আড্ডা দিয়েছেন। এখন এ খবর শুনে আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছি। সখীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী বাদল জানান, সকালে ঢাকার ওই কারখানা থেকে করোনা শনাক্তের খবর আসে। উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শে আমি ওই বাড়িটিতে গিয়ে ওই রোগীকে ঘর থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এ খবরে এলাকাবাসীও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১