বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২০

স্থানীয়দের পদচারণায় ফের মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

স্থানীয়দের আনাগোনায় মুখর হতে শুরু করেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছবি: বাংলাদেশের খবর


আবারো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বিশেষ করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এখন স্থানীয়দের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। শুক্রবার এবং আজ শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সৈকতে সাধারণ মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি ছিল বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। এছাড়া সৈকতের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে বলে জানান তারা। এদিকে কাজ হারিয়ে বেকার থাকা সংশ্লিষ্টরা আবার কাজে ফিরতে পেরে মহা খুশি। এদিকে দ্রুত হোটেল মোটেলও খুলে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।

শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা বাহারছড়ার আবছার উদ্দিন জানান,৩ মাসের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে হাপিয়ে উঠেছিলাম। তাই শুক্রবার দেখে বিকালে একটু ঘুরতে আসলাম একটু মুক্ত বাতাস খেতে। এসে আসলাম এসে দেখি অনেকে এসেছে। আমার খুব ভাল লাগছে।

এ সময় সৈকত পাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা শাহজালাল বলেন, করোনার ভয়ে মানুষ ঘর বন্দি ছিল অনেক দিন আমরা ঘর থেকে বের হয়নি। এখন একটু বের হলাম। বীচে ভাল লাগছে মুক্ত বাসাত খেতে পারছি। আবার অনেক মানুষ এক সাখে দেখে ভাল লাগছে তবে হুট করে সব কিছু খুলে দিলে বিপদ আরো বাড়বে কি না সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

এদিকে স্বপরিবারে বীচে আসা নুনিয়ারছড়ার মাসুদুল আলম জানান,ছেলে মেয়েরা বাসায় থাকতে থাকতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে উঠেছে তাই তাদের মন ভাল করার জন্য একটু বীচে আসলাম। এখানে এসে দেখছি অনেকে স্বপরিবারে এসেছে। তবে এখনো পর্যটন ব্যবসায়িরা আসেনি। এ সময় সৈকতে ঘোড়া ব্যবসায়ি মুরাদ বলেন,আমাদের আর কোন পেশা নেই সৈকতেই আমাদের পেশা এখানে ঘোড়া নিয়ে মানুষকে আনন্দ দেওয়া ছবি তুলে কিছু টাকা রোজগার করলে সেটা নিয়ে সংসার চলতো তবে ৩ মাস ধরে বীচে নামতে না পেরে খুবই কষ্টে আছি কাউকে বলতে পারছি না। আমি না খেলোও ঘোড়াকে খাওয়াতে দৈনিক অন্তত ২০০ টাকা লাগে। এখন কিছুটা মানুষ আসছে তাই আবার ঘোড়া নিয়ে আসলাম। তবে ভাল খবর হচ্ছে আজকেই এখন পর্যন্ত ১৫০ টাকা আয় হয়েছে।

এদিকে লকডাউনে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করছে জানিয়ে লকডাউন তুলে নিয়ে জীবনযাপন স্বাভাবিক করার দাবী জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ করে হোটেল মোটেল খুলে দেওয়ার দাবী জানান তারা।

এ ব্যপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, এখনো করোনা পরিস্থিতি একেবারে ভাল হয়নি। তবুও সরকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এই সুযোগে বীচে কিছুটা স্থানীয় মানুষের সমাগম ঘটছে। আর ভবিষ্যতে সরকারের নির্দেশনা মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১