আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২০
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইন পশুর হাট চালু হয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর অফিসের তত্ত্বাবধানে ফেসবুকে "কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের অনলাইন প্লাটফর্ম, সখিপুর, টাঙ্গাইল" নামে একটি পেজ খুলে এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এই ফেসবুক পেজে গরু মহিষ ও ছাগলের খামারিরা পশুর ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য আপলোড করছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর আশাবাদি এই অনলাইন গরুর হাটে ব্যাপক সারা দেশে পাওয়া যাবে। এই হাট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। ক্রেতারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঘরে বসেই পশু কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে ক্রেতারা পশুর ছবি দেখে মালিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করবেন। ক্রেতা স্বশরীরে খামারে গিয়েও পশু দেখতে পারেন। ক্রেতা-বিক্রেতার সমঝোতার মাধ্যমে দরদাম ঠিক করে নগদ পরিশোধের মাধ্যমে পশু ক্রয় করবেন। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা। উপজেলা প্রাণি সস্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলায় গরু, মহিষ, ছাগলসহ কোরবানি দেওয়ার যোগ্য পশু রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। এই উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। উপজেলার চাহিদা মিটিয়েও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার গরু-ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। তবে খামারিদের জন্য আশার খবর এই যে, সখীপুরে বেশ কয়েকটি বড় পশুর হাট রয়েছে। ওইসব হাট থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে রপ্তানী হয়। তাই আশা করা হচ্ছে এ বছরও কোনো পশু উদ্বৃত্ত থাকবে না। খামারিরাও পশুর ভালো মূল্য পাবেন। উপজেলার কালমেঘা গ্রামের খামারি মতিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন খামারি অনলাইন পশুর হাটের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, করোনা দুর্যোগে অনলাইন পশুর হাট খামারিদের পশুর ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির পাশাপশি করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিও কমাবে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবদুল জলিল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, অনলাইন পশুর হাটের সফলতার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশাকরি চলমান করোনা সংকটে অনলাইন ভিত্তিক পশুর হাট মানুষকে করোনা ঝুঁকি থেকে রক্ষার পাশাপাশি কেনাকাটাকে আরো সহজ স্তরে পৌঁছে দিবে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১