বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

চাঁদপুরে সাগরের ইলিশে মৎস্য আড়ত সয়লাব


‘ইলিশের বাড়ি’-খ্যাত চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের দেখা নেই। এতে হতাশা প্রকাশ করছেন জেলেরা। তবে দক্ষিণাঞ্চলে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। সেই ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (মৎস্য আড়ত)।

গতকাল শনিবার সকালে আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটজুড়ে ইলিশ আর ইলিশ। আড়তদার, শ্রমিক, বরফ ব্যবসায়ী সবাই এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে যেসব ইলিশ আমদানি হচ্ছে, সেসব ইলিশ রাত ৯টার মধ্যে বিক্রি হয়ে আড়তগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। মাছগুলো ট্রাক, ট্রেন ও বাসে করে রপ্তানি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার এ দুই দিনে দক্ষিণাঞ্চল থেকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৩০ থেকে ৪০টি ইলিশ ভর্তি ফিশিং বোট (ট্রলার) আসায় ইলিশের এই ছড়াছড়ি বলে জানিয়েছেন মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীরা। ফিশিং বোটের পাশাপাশি নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলা ও লক্ষ্মীপুর থেকে ট্রাক ও পিকআপ বোঝাই করে আনা হয় প্রচুর ইলিশ। সাগরে ইলিশের আমদানিতে ইলিশের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত জানান, এসব ইলিশ সাগরের কাছাকাছি নোয়াখালীর হাতিয়া, বরগুনা ও ভোলা জেলার। গত দুদিন ইলিশ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে এখন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে। একদম বড় সাইজের ইলিশ অর্থাৎ এ কেজি থেকে ২ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় সেপ্টেম্বর শেষ থেকে অক্টোবর মাসে পরিপক্ব ইলিশগুলো সাগর থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানিতে চলে আসে। তখন পদ্মা-মেঘনায় বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। কিন্তু মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ২২ দিন চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে এখন পর্যন্ত সময়সীমা মন্ত্রণালয় থেকে ঠিক করা হয়নি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, পদ্মা-মেঘনার বিভিন্ন স্থানে চর জেগে পানির স্রোতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, যত্রতত্র ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের ভরা মৌসুমেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ পাওয়া না গেলেও কিন্তু সার্বিকভাবে বাংলাদেশে


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১