বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বগুড়ায় টানা বর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধি, আমনের ক্ষেত পানিতে ডুবছে


গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বগুড়ায় নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। খাল ও নদী সংলগ্ন নিচু এলাকায় পানি ওঠায় বহু স্থানে আমনের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় ক্ষেতের পর ক্ষেত পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। এতেও ই সব স্থানে চলতি মৌসুমে আমনের আবাদ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তবে কৃষি সম্প্রসরণ অধিদপ্তর বগুড়া জানিয়েছে, এখনই আমন নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। যদি পানি দ্রুত নেমে যায়,তাহলে আবাদের কোন ক্ষতি হবে না। শুধু আমন নয় কয়েকটি এলাকায় শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেতেও পানি ওঠায় কৃষকদের চিন্তায় ফেলেছে। আর কৃষি বিভাগ বলেছে পানি যাতে সবজি ক্ষেতে না জমে সে জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ৩ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মঙ্গলবারে এরপর বৃস্পতিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে,বাঙালী, করতোয়া ও নগোর নদীতে পানি বেড়েছে। তবে যমুনাসহ এসব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। এর মধ্যে বাঙালী, করতোয়া ও নাগর নদীর পানি বৃদ্ধির হার বেশি।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এসব নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকার জমিগুলোতে উঠেছে। 

গাবতলি উপজেলার নেপালতলি ইউনিয়নের কৃষক মোজাফ্ফর(৫৫) জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করেছেন। তবে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে পুরো আবাদই পানিতে ডুবে গেছে। এখন তিনি এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। বগুড়া কৃষি বিভাগ বলছে এবার বগুড়ায় এখন পর্যন্ত আমন আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কৃষকরা জমিতে চারা রোপন করবে। অপর দিকে কৃষকরা জেলায় এপর্যন্ত শীতকালীন আগাম শাক ও সবজির আবাদ করছেন ৪ হাজার হেক্টর জমিতে।

বগুড়া কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. দুলাল হোসেন জানিয়েছেন,গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৮০ হেক্টর জমির আমান আবাদ পানিতে ডুবলেও তা নষ্ট হয়নি। তাদের হিসাব অনুযায়ী সারিয়াকান্দিতে ১৫০ হেক্টর, সোনাতলায় ৮০হেক্টর, শাজাহানপুরে ৫০ হেক্টর, শেরপুরে ৫০ হেক্টর, ধুনটে ২০ হেক্টর এবং বগুড়া সদর উপজেলায় ২০ হেক্টর আমন ক্ষেতে পানি উঠেছে। তিনি জানান, আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে পানি নেমে গেলে আবাদের কোন ক্ষতি হবে না।

তিনি আরো জানান, সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় এবার আমনের চারা পুরুষ্ট হয়েছে।  এখন জমি থেকে পানি দ্রুত নেমে গেলে এবার বগুড়ায় আমনের বাম্পার ফলন হবে। আর সবজি ক্ষেতে যেন পানি না জমে, সে বিষযে চাষীদের সবজি ক্ষেত থেকে নালা কেটে পানি বের করে দেয়ার পরার্মশ দেয়া হয়েছে।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৩দিন ধরে বগুড়ায় টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার ৫৯ মিলিমিটার এবং বুধবার ১৬ মিলিমিটার ও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মাসে বগুড়ায় একদিনে সবোর্চ বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে ৯১ মিলিমিটার। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলায বাঙালী,করতোয়া ও নাগোর নদীর পানি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় রয়েছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১