বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

ছড়িয়ে পড়ছে শৈত্যপ্রবাহ

উত্তরাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকার তাপমাত্রা আরো কমতে পারে


দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে শৈত্যপ্রবাহ। এটি আরো বিস্তার লাভ করতে পারে। গতকাল সোমবার দেশের ১২ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এ শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, এই শৈত্যপ্রবাহ আরো ২-৩ দিন থাকতে পারে। মৃদু মাত্রার এই প্রবাহে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকার তাপমাত্রা বেশি নামতে পারে। অন্য এলাকার তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।

দিনাজপুর, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরো অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আরো ১১ জেলার তাপমাত্রা এখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই অবস্থান করছে।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ৮, বদলগাছিতে ৮ দশমিক ২, যশোরে ৮ দশমিক ৬, শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ৪, ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ২, গোপালগঞ্জে ৯, দিনাজপুরে ৯ দশমিক ৭, রাজারহাটে ৯ দশমিক ৮, তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ১ ও যশোরে ৮ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় গতকাল ছিল ১৪,  ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ৫, সিলেটে ১২ দশমিক ২, রাজশাহীতে ৮, রংপুরে ১১ দশমিক ৬, খুলনায় ১০ দশমিক ৫, বরিশালে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য এলাকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

শীতের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন দরিদ্র মানুষেরা। শীতজনিত নানা সমস্যায় ভুগে থাকে প্রবীণ এবং শিশুরাও। শীতের এই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হতে পারে। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বেশি ছড়ায় বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

তাদের আশঙ্কা, আর্দ্রতা কম থাকা, সূর্যের আলোর স্বল্পতা, ভিটামিন ডি-এর অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিবন্ধকতাজনিত কারণে শীতকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যাসহ অন্যান্য ফ্লু জাতীয় রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়তে পারে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর গণামাধ্যমকে বলেন, কোভিড-১৯ ছাড়াও বাংলাদেশের জনগণ অন্য চারটি করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ সর্দিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে সেগুলো স্ব-প্রতিরোধক ভাইরাস। শীতের এই সময়ে যদি মানুষ কোভিড-১৯ এবং অন্য করোনাভাইরাসে একসাথে আক্রান্ত হয়, তাহলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে।

উল্লেখ্য, মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশে আরো ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৪৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৯৩২ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ১০ হাজার ৮০ জনে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১