বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২১

 চা উৎপাদনে রেকর্ড করেছে উত্তরবঙ্গ


২০২০ সালে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৫৭ একর জমির ২৭টি চা বাগান এবং সাত হাজার ৩১০ টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এক কোটি তিন লাখ বা ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ লাখ কেজি। বিগত বছরের তুলনায় সাত লাখ ১১ হাজার কেজি বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে এবং করোনাকালীন সময়েও সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানিয়েছে চা বোর্ড।

রোববার দুপুরে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, আলোচ্য সময়ে এসব বাগান থেকে পাঁচ কোটি ১২ লাখ  ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের চলমান ১৮টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি তিন লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

চা বোর্ড আরো জানিয়েছে, ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৬৮০ দশমিক ৮৬ একর এবং উৎপাদন হয়েছিল ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার কেজি। সেই তুলনায় ২০২০ সালে এক হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উৎপাদনও বেড়েছে সাত লাখ ১১ হাজার কেজি।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জাহিরুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, শ্রমিকদের মুজুরি বৃদ্ধি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে বুঝা যায় যে, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের চা শিল্প উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম।

তিনি আরো বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, ‘সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পপনা হাতে নেয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। দিনদিন এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল এপস চালু করা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেয়া হয়।

শামীম আল মামুন আরো বলেন, ‘এ বছর ক্ষুদ্র চাষিরা কাঁচা পাতার ন্যায্যদাম পাওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে। নতুন নতুন চা আবাদীও বাড়ছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের যেমন দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে তেমনি ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১