আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এক সময় বেশ সফল ভালো উদ্যেক্তা ছিলেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ফুলাচাষী মোজাম্মেল হক হিরু। দির্ঘদিন জাপানে প্রবাস জীবন শেষে ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে শুরু করেছিলেন ফুল চাষ। ধীরে ধীরে সম্প্রসারণ করেছিলেন। কর্মসংস্থান করেছিলেন ৫-৬ জনের। কিন্তু করোনায় ফুলের চাহিদা কমে যাওয়ায় তার ফার্মে বর্তমানে কাজ করছে ১জন। কয়েক বছর আগে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেকটাই কর্ম অক্ষম হয়ে পরে হিরু। তবে একজন সফল উদ্যেক্তা হিসাবে ফুলচাষে বেশ লাভবান হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে করোনা মহামারীর কারনে ফুলের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং গত বছর বন্যায় কিছু ফুলের জমি তলিয়ে গাছে নষ্ট হয়ে যাওয়ার এবছর ফুল চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। গত বছর প্রায় ১ একর জমিতে ফুল চাষ করেছেন তিনি। তার রোপনকৃত ফুলের মধ্যে জারবেড়া, স্টার, ডালিয়া, জুইবেরী, পমপম উল্লেখযোগ্য ছিল। সেখানে এ বছর মাত্র ৬/৭ গন্ড (৪২/৪৯ শতাংশ) জমিতে সুর্যমুখি, জারবেড়া, জুই বেলী, ডালিয়া ফুল চাষ করেছেন। বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদন ও বাজারজাত করে এক সময়ের সফল হিরু এখোন ভালো নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের ৫/৬ টুকরো খন্ড খন্ড পরিত্যাক্ত জমি লিজ নিয়ে এবছর ফুল চাষ করেছেন হিরু। এগুলোর মধ্যে জারবেড়া জাতের ফুল বেশি। এ ফুলটি সারাবাছর উৎপাদন হওয়ায় লাভের হার বেশি বলে জানান ফুল চাষি হিরু। এছাড়া মৌসুমি বেশ কিছু ফুলেরও আবাদ করেছেন তিনি। ফুলচাষি মোজাম্মেল হক হিরু জানান, আমি ফুল চাষ করে ভালই ছিলাম। করোনা মহামারি ও গেল বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এ বছর বেশী ফুল চাষ করতে পারি নাই। তাছাড়া এবছর ফুলের চাহিদাও কমে গেছে। তাই ফুল চাষ কমিয়ে পুই শাঁক ও লাউ গাছ চাষ করেছি। আমার বাগানে বিগত সময়ে ৫/৬জন শ্রমিক কাজ করতো সেখানে বর্তমানে ১জন কাজ করছে। তবে বর্তমানে স্লোবন ও ডালিয়া ফুল উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে যেভাবে ফুল আসতে শুরু করেছে আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো লাভবান হওয়ার আশা করছি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১