লাক্স সুন্দরী মীম মানতাশার বুড়া জামাই হলেন জাহিদ হাসান। ঈদের ৭ পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক ‘বুড়া জামাই-২’ নাটকে দেখা যাবে তাদের। গত বছর ঈদে বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত বুড়া জামাই নাটকের সিক্যুয়েল এটি। বুড়া জামাই নাটকের বিপুল জনপ্রিয়তার কারণেই সিক্যুয়েল বুড়া জামাই-২।

টিপু আলম মিলনের গল্পে জাকির হোসেন উজ্জ্বলের চিত্রনাট্যে নাটকটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন রোহান আহমেদ রুবেল ও হানিফ খান। ঈদের ৭ দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে নাটকটি প্রচার হবে বৈশাখী টিভিতে।

নাটকের গল্পে দেখা যায়, বুড়া জামাই শেভ করে ইয়াং সেজে দিয়ার সামনে এসে দাঁড়ায়। দিয়া চমকে ওঠে। দিয়াকে নিয়ে সুখের সংসার গড়েছে ফরহাদ। এর মধ্যে ফরহাদের খালা শেফালী বেগম তার মেয়ে সুরভীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন। সুরভী খুব বোকাসোকা মেয়ে। মা যা বলে সে তাই করে। মা মেয়ে দুজন মিলে দিয়াকে সুযোগ পেলেই সে কথা শুনিয়ে দেয়। দিয়া প্রচণ্ড মন খারাপ করে ওর বোন পিয়াকে কল করে।

পিয়া ঘটনা জানতে পেরে ওর স্বামী নাইমুলকে নিয়ে ছোট বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসার পর যথারীতি খালার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। খালাও হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী না। তিনি বিভিন্নভাবে দ্বন্দ্ব লাগাতে চেষ্টা করেন। আর কোনো কিছুতে না পারলে তো তার বড় অস্ত্র ‘কান্না করা’ আছেই। এই নিয়ে ফরহাদের সাথে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়। দিয়া জেদ করে বাবার বাড়ি চলে যেতে চায়। এবার পিয়া নাইমুল আর মকবুল সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে চেষ্টা করে। তারা সারাক্ষণ বোঝাতে থাকে ফরহাদের মতো ভালো ছেলেকে ভুল বোঝা ঠিক হবে না। তা ছাড়া দিয়া চলে গেলে তার খালা এই সুযোগটাই নেবে। সুরভীর সাথে ফরহাদের বিয়ে দিয়ে দেবে। ফরহাদ তার খালাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। তার খালাতো বোনটা বোকাসোকা বলে তার প্রতিও এক ধরনের সহমর্মিতা কাজ করে। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী। নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন আরফান, সাজু খাদেম, মানসী প্রকৃতি, শিরিন আলম প্রমুখ।