বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২০ মে ২০২১

দর্শক সংকটে ঈদের ছবি


এবারের ঈদে প্রেক্ষাগৃহ খোলা থাকলেও দর্শক সংকটের চরম পরিণতিতে ফ্লপ হয়েছে ঈদের ছবি। নতুন-পুরনো মিলিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্র মুক্তি পেলেও কোনোটিই সুবিধা করতে পারেনি। ছবির ফলাফল পর্যবেক্ষণে এমনটিই দেখা গেছে।

এবারের ঈদে একমাত্র নতুন ছবি ছিল মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্রযোজিত এফ আই মানিক পরিচালিত ডিপজল ও মৌসুমী অভিনীত ‘সৌভাগ্য’। ছবিটি দেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এ ছাড়া ৩০ সিনেমা হলে শাকিব খান-নুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘শাহেনশাহ’, ২০ হলে সিয়াম-পরীমনির ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও শাকিব খান-বুবলী অভিনীত কাজী হায়াতের ‘বীর’ ছবিটি ১০ হলে মুক্তি পেয়েছে। এর বাইরে ‘খুনি বউ’, ‘অলাতচক্র’, ‘বাদশা দ্য ডন’সহ আরো কিছু অশ্লীল যুগের ছবি মুক্তি পেয়েছে। সিনেমা হলের বাইরে ওটিটি প্ল্যাটফরমে মুক্তি পেয়েছে অনন্য মামুন পরিচালিত নিরব অভিনীত আলোচিত ছবি ‘কসাই’।

বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে সিনেমা হল বন্ধের কোনো নির্দেশ না থাকলেও অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে যায় দেশের প্রায় সব সিনেমা হল। চলচ্চিত্র ব্যবসার প্রধান মৌসুম ঈদের এই সময়ে অনেকগুলো সিনেমা হল খোলা হলেও রংপুর, সিলেট, বগুড়া, সৈয়দপুর ও গাইবান্ধায় ইউএনওদের বাধার মুখে সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়। তবে দেশজুড়ে শতাধিক সিনেমা হল খোলা থাকলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে এবারের ঈদের ছবি।

লোকসানের ভয়ে প্রযোজক-নির্মাতারা নতুন ছবি মুক্তিতে এগিয়ে না এলেও ডিপজলের নতুন ছবি ‘সৌভাগ্য’র মুক্তির ঘোষণা দেন। মুক্তির আগে ছবিটি নিয়ে কিছুটা আলোচনা হলেও দর্শক সাড়া মেলেনি। মৌসুমীর মতো আলোকিত অভিনেত্রীও এই ছবির মাধ্যমে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এবারের ঈদে আলোচিত ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’ও ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। পরীমনি ও সিয়ামের মতো তরুণ প্রজন্মের শিল্পীর ছবিটিও দর্শক গ্রহণ করেননি। পাত্তা পাননি শাকিব খানও। তার ‘শাহেনশাহ’ ও ‘বীর’ ছবি দুটিও সাড়া পায়নি।

প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আসলে ঈদের ছবি চলেনি এটা আমরা বিচার করতে পারছি না। আমরা তো দর্শকের জন্য ভালো কিছু দিতে পারিনি। একমাত্র ডিপজল সাহেব তার একটি ছবি এবারের ঈদে মুক্তি দিয়েছেন। যদি আমরা ঈদে বিগ বাজেটের নতুন ছবি মুক্তি দিতে পারতাম তাহলে ঈদের ছবি নিয়ে কথা বলতে পারতাম। ঈদে আমরা দর্শকের জন্য কিছুই দিতে পারিনি। তাহলে দর্শক হলে আসবে কী করে?

দর্শক খরা নিয়ে খসরু বলেন, মূলত করোনার কারণে ঈদের ছবিরই এই অবস্থা। মানুষ যখন মহামারীর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত তখন কী করে হলে যাবে ছবি দেখতে? আগে তো জীবন তার পর তো বিনোদন। তাহলে সিনেমা হল খোলা রেখে লাভ কি? এর জবাবে খোরশেদ বলেন, বন্ধ রাখলে বলা হয় সিনেমা হল বন্ধ আর খোলা রাখলে করোনার ভয়ে দর্শক হলে আসেন না। হল বন্ধ রেখেও তো লাভ নেই। খোলা থাকলে অন্তত বলা যায় সিনেমা হল খোলা আছে। সব মিলিয়ে পরিবেশটা অনুকূলে নয়। খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলে

আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। শুধু ঈদ নয়, সারা বছরই ভালো ছবি মুক্তি পাবে সিনেমা হলে দর্শকের সমাগম হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১