বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৮ জুন ২০২১

কেমন আছে দেশের একমাত্র জাগুয়ার জুটি?


বাংলাদেশে এক মাত্র জাগুয়ার জুটি এখন চার দেয়ালে কষ্টের বন্দি জীবনযাপনে সময় পার করছে। আবদ্ধ এ চার দেয়ালে আটকা পড়ে নিজের আসল রূপ প্রায় হারিয়ে ফেলছে তারা। ২০১৭ সালে  অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি নারী ও একটি পুরুষ জাগুয়ার (জুটিকে) চোরাকারবারিদের কাছ থেকে উদ্ধারের পর তাদের আশ্রয় হয় গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বন্য প্রাণি কোয়ারেন্টাইনের একটি ছোট্ট খুপড়ি ঘরে।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে তাদের ক্ষীপ্রতাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে চার দেয়াল। দ্রুত তাদের উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে জাগুয়ার জুটি। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বংশ বৃদ্ধির সম্ভবনা হতে পারে। যা আগামীতে আমাদের দেশের বনে ঘুরতে দেখা যেতে পারে সুন্দর এ প্রাণি জাগুয়ার।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান  এই দেশে একমাত্র জাগুয়ার জোড়া বসবাস করছে আমাদের সাফারি পার্কে। খুব শক্ত নির্মাণশৈলীর একটি ঘরে তাদের বসবাস প্রায় চার বছর ধরে।  এরা দুরন্ত ও তুখোড় ক্ষিপ্রতার প্রাণী বলে কোনো খোলা বেষ্টনীতে রাখা সম্ভব না। বড় বড় গাছের মগডালে এক লাফে উঠে পড়ার ক্ষমতা রাখে জাগুয়ারের। সাঁতার কাটাতেও পটু জাগুয়ার। নিজেরা নিজের খাবার শিকার করে খায। কিন্তু একদল চোরাকারবারীর কবলে পড়ে পাচারের হাত থেকে বেঁচে গত ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তাদের ঠাঁই হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। এখন কাকতালীয়ভাবে পাওয়া জাগুয়ার দুটিকে ঘিরে জেগেছে নতুন সম্ভাবনা। এরা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে। সুখবর হলো, তারা এখন প্রাপ্তবযস্ক। বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম। এই জোড়া থেকে বাচ্চা পাওয়ার আশা আছে। জাগুয়ার জোড়ার ওপর দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণের পর তার ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। এই পরিবেশে জাগুয়ারের ঘরে শাবক জন্ম নিলে এটি হবে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যা দেশে বিস্ময়  ও আলোড়ন সৃষ্টি করবে।

পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান,  লেপার্ড, জাগুয়ার ও চিতা- এই তিন‌ ধরনের বন্যপ্রাণীকে গুলিয়ে ফেলা  মানুষের খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। শারীরিক গঠন ও রঙে অল্প কয়েকটা নিখুঁত পার্থক্য আছে এদের মধ্যে। এই তিন ধরনের প্রাণীর শরীরেই ছোপ ছোপ কালো দাগ আছে। তবে দাগগুলোর গঠনে আছে পার্থক্য। জাগুয়ারের ক্ষেত্রে গায়ের কমলা রঙের ওপর বিক্ষিপ্ত ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায। পূর্ণবযস্ক জাগুয়ারের ওজন ১১৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। জাগুয়ারের বসতি মূলত দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোতে। এরা একা চলাফেরা করে থাকে। পার্কে থাকা জাগুয়ার দুটির দিন কাটে নানা খুনসুটিতে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. তবিবুর রহমান আরো বলেন  গত ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর যশোরের চাঁচড়া এলাকায একটি প্রাডো গাড়ির ভেতর থেকে দেড় মাস বযসি জাগুয়ার দুটি উদ্ধার হয়েছিল। তখন এদের একটির ওজন ছিল দুই কেজি। আর অপরটি প্রায দেড় কেজির মতো। এদের মধ্যে একটি পুরুষ, অপরটি স্ত্রী। এখন পার্কে একটি ঘরে তাদের রাখা হয়েছে। নিয়মিত খাবার দেওয়া হয়।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১