বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২০ জুন ২০২১

শার্শায় গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থা


যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শা-কাশিপুর সড়কের গোড়পাড়া বনমান্দার মোড় হতে পাকশিয়া বাজার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থান চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের ঐ সকল স্থানের কার্পেটিং ও বালি-খোয়া উঠে যাওয়ায় বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্ষার শুরুতেই পানি কাঁদা জমে যানবাহন চলাচলের মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে।

কখনো কখনো পন্যবাহী ছোটবড় যানবাহন খাদে আটকে দীর্ঘ সময় তীব্রযানজটের সৃষ্টি হওয়ার বিপাকে পড়ছে বিভিন্ন স্থানে কাজে কর্মে যাওয়া সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী এবং উপজেলা ও জেলা শহরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসুস্থ্য রোগী।সেই সাথে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দ‍ুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এমন বেহাল অবস্থা পরিলক্ষিত হলেও সংস্কারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন উদ্দ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শার্শা-কাশিপুর সড়কের গোড়পাড়া উত্তরপাড়া বনমান্দার মোড় সাইনদ্দির বাড়ির সামনে, গোড় পাড়া মোল্ল্যা বাড়ি মসজিদের সামনে, তেবাড়িয়া ইউনুচের বাড়ির সামনে, দুদুমিয়ার রাইচ মিলের সামনে, সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজ গেট, শাড়াতলা বাজার, পাকশিয়া শিমুলতলা এবং কমল ডাক্তারের বাড়ির সামনেসহ বিভিন্নস্থানে পাকা রাস্তা বর্তমানে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।

ঐ সকল স্থানে পিচের কাপিটিং ও বালিখোয়া উঠে গিয়ে বড়বড় খানা-খন্দগর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলা-বালির মধ্যে মুখে কাপড় বেঁধে মানুষজন ও যানবাহন চলাচল করলেও এখন পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়ে পড়েছে। বর্ষার শুরুতেই খানা-খন্দগর্তে পানি কাঁদা জমে মানুষজন ও যানবাহন চলাচলে মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে। অধিকাংশ সময় সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন ও পন্যবাহী ছোট-বড় গাড়ি গর্তে আটকে থেকে দীর্ঘসময় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দুর-দুরান্তে যাতায়াতকারী মানুষজন ও অসুস্থ্য রোগীদের। রাস্তায় ঐ সকল খানা-খন্দগর্তের পানি কাঁদা ছিটকে পথচারি, শিক্ষার্থী ও দোকানে বসা জনসাধারনকে নাস্তা-নাবুধের শিকার হতে হচ্ছে।

সেই সাথে মোটরসাইকেল, মোটরভ্যান, ইজিবাইক, এবং থ্রি-হুইলার খাদে উল্টেও কাঁদায় স্লিপকেটে বাড়ছে ছোট বড় দ‍ুর্ঘটনা। তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারী পন্যবাহী ট্রাকসহজে যাতায়াতের জন্য রাতে শার্শা-কাশিপুর সড়ক হয়ে চৌগাছা কালিগঞ্জ ঝিনাইদহ এবং ছুটিপুর ধর্মতলা যশোর শহর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। সেই সাথে ইট-বালি, সিমেন্ট, রড, পাথর-মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচল করায় বর্তমানে সড়কের এমন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

শাড়াতলা কলেজগেটের ফার্নিচার, রাইচ মিলও বাজারের ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী আক্তার, রফিকুল এবং শরিফুল বলেন, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তার বড় গর্তের কারনে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে।

দীর্ঘসময় গাড়ি গর্তে আটকে থাকছে, পানি কাঁদা ছিটকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের গায়ে লাগছে। তাই ঠিকমত দোকানও খুলতে পারছিনা।

পথচারী শহিদুল ও শ্যামলী বলেন, জরুরী কাজে নাভারন যেতে হবে। রাস্তার গর্তে ট্রাক আটকে থাকায় দ্রুত যেতে পারছিনা। কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কোচিং করতে যাওয়া আসার সময় দ্রুত গাড়ির চাকা খানা-খন্দগর্তের পানি- কাঁদা শরীরের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। তখন ভীষন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। এগুলো সংষ্কার করা খুব প্রয়োজন। অনেকের সাথে কথা বলে এমন দূভোর্গ বিষয় জানা যায়। এমতাবস্থায় জন গুরুত্বপূর্ন শার্শা-কাশিপুরসড়কের প্রতিবেদন উল্লেখিত স্থান সমূহ দূভোর্গ লাঘবে জনস্বার্থে দ্রুত সংস্কার কাজ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১