আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২১
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক কামরুন্নাহার কোনো ধরনের ফৌজদারি বিষয় পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নন। আপিল বিভাগের আদেশ লঙ্ঘন করায় তার বিষয়ে এমন রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ ২২শে নভেম্বর এ রায় দেন। তবে, ছয় পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় বুধবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের ঘটনার ৩৮ দিন পর কেন মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। ভবিষ্যতে সঠিক তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেন আদালত। একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ যেন মামলা গ্রহণ না করেন, সে বিষয়েও রায়ে বলা হয়। এই পর্যবেক্ষণের পর আইনমন্ত্রী এটিকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দেন। এরপর বিচারক কামরুন্নাহারকে বিচার কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে, রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসমিকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের আদালত।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১