বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২

জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব

সিসা কারখানার আগুনে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ


ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের চাউনা এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ সিসা কারখানা। রাতের আঁধারে অবৈধ সিসা কারখানার আগুন জ্বলে, বাতাস হচ্ছে বিষাক্ত, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে অনুমোদনহীন সিসা কারখানাটি পরিচালনা করছেন আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় এসব পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা ও কয়লা তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন তিনি।

অবৈধ সিসা কারখানার মালিক আরিফুল ইসলাম পূর্বে দুই বার প্রশাসনের কাছে ধরা পড়েছেন, করেছেন জরিমানা এবং বন্ধ করে দিয়েছে তার কারখানা। প্রথমে তিনি গোপনে সোমভাগ ইউনিয়নের সোমভাগ এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই কারখানা। প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় তাকে জরিমানা করা হয় এবং বন্ধ করে দেন কারখানাটি। পরবর্তীতে কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি জহিরুল ইসলামের নিজ কারখানার ভেতর সিসা কারখানা গড়ে তুলেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্ধ করে দেন কারখানাটি। বর্তমানে সেই একই ব্যক্তি আরিফুল ইসলাম এতো কিছুর পরও থেমে নেই। প্রশাসনের অগোচরে আবার ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের চাউনা গ্রামে মামা ব্রিকসের পাশে মামা ব্রিকসের মালিক নাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে চলছে এই কারখানাটি।

জানা গেছে, উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের চাউনা এলাকায় কারখানায় প্রায় ১৫-২০ জন শ্রমিক হাতে গ্লাপস ও মুখে মাস্ক না পরেই আগুন জালিয়ে পুরাতন ব্যাটারি পোড়ার কাজ করে। তবে সিসা কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এভাবে দিনে ও রাতে তিনবার একই চুল্লিতে পুরাতন ব্যাটারি পোড়ানো হয়। পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা বের করা হয়। সেই সিসাকে গলিত অবস্থায় লোহার তৈরি কড়াইয়ে ঢেলে পাটা তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত প্রতিটি পাটার ওজন প্রায় ৩০/৩২ কেজি। যেখানে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে প্রতিদিন প্রায় ২শ থেকে আড়াইশ পাটা তৈরি করা হয়।

এ বিষয়ে সিসা কারখানার মালিক আরিফুল ইসলামকে কয়েকবার   মোঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, এসব কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এ ধরনের পদার্থ মানুষের শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সমস্যা, হাঁচি, কাশিসহ ক্যানসারের মতো কঠিন ও জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমনকি গবাদি পশু অসুস্থ কিংবা মারাও যেতে পারে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১