বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২

প্রেমের অপরাধে যুবকের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন


মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অসম প্রেম করার অপরাধে সাইফুল ইসলাম রাজন নামে এক যুবককে অমানুষিকভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মো.আলমগীর নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) মো.জয়নাল এর বাড়িতে।

গত শনিবার (৮ জানুয়ারী) বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বালুচর ২নং ইউপির সাবেক ওয়ার্ড সদস্য মো.জয়নাল এর মো.আলমগীর তার বাড়িতে সাইফুলকে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। পরে এলাকাবাসী সিরাজদিখান থানা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সাইফুল ইসলাম রাজনকে উদ্ধার করে। প্রথমে নিমতলা একটা প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক জয়নাল মেম্বারের বাড়ির মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় সাইফুলের। ৩বছরের প্রেমের সম্পর্ক যখন গভীরতর হলে তারা দুজনে পালিয়ে যায়। তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেয়ের পরিবার। সাইফুলের লেখাপড়া ও পরিবারিক অবস্থা ভালো না থাকায় আপত্তি ওঠে মেয়ের পরিবার থেকে। গত ৮জানুয়ারী মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় মেয়ের চাচা আলমগীর হোসেন। সরল বিশ্বাসে সাইফুল যায় ঐ বাড়িতে। পূর্বপরিকল্পনা মতো গাছের সাথে বেঁধে আদিযুগের বর্বরোচিত কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। পরে এলাকাবাসী সিরাজদিখান থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সাইফুল ইসলাম রাজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত সাইফুল ইসলাম রাজনের নানা জজ মিয়া বলেন, আমার নাতীর অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত খারাপ। আমরা তাকে বাচানোর জন্য ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি এখন। তারা আমার নাতীকে পরিকল্পিতভাবে ফোন করে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অমানবিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তার দুটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। মাথায় আঘাত করে দুই স্থানে বড় বড় গর্ত করেছে। এছাড়া লাঠিসোটা দিয়ে মেরে শরীরে নিলাফোলা করা হয়েছে। দুদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আমার নাতী। আলমগীরের নেত্রিত্বে তার ভাই ভাতিজারা মিলে একজন ছেলেকে হাতপা বেঁধে আছর নামাজ ওয়াক্ত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেরেছে। জানিনা আমার নাতীর ভাগ্যে কি আছে? আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত মো.আলমগীর বলেন, গত দুই মাস আগে আমার ভাসতিকে অপহরণ করছে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার ভাসতিকে উদ্ধার করে আনছে। আর ছেলেকে আমরা জেলে দিয়ে দিছি। হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসেছে এক সপ্তাহ আগে। এসেই আমাদের হুমকি দিয়েছে। পরে শুক্রবার দিন খোঁজখবর লইয়া দেখছে আমাদের বাড়িতে লোকজন কম আছে। এ দেখে লোকজন নিয়ে ভাসতিকে উঠায় নিতে আসে। তখন আত্মীয়-স্বজনরা ধরে তাকে গণধোলাই দিছে।সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১