বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২

বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্তরা


কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল ভারত সীমান্তঘেঁষা পাকুড়িয়া গ্রাম। সবধরনের সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত পাকুড়িয়ার চরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৭ নির্মিত এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থান পেয়েছে ২৬০ পরিবার। কিন্তু এই শীতে জড়সড় দরিদ্র এই মানুষগুলোর শীত নিবারণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পেয়ে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা শুক্রবার সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষ থেকে দেওয়া ৩০০ কম্বল পৌঁছে দিয়েছে দরিদ্র-অসহায় এই মানুষগুলোর হাতে। কম্বল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা এই চরের মানুষগুলো প্রাণ খুলে দোয়া করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের জন্যে। কম্বল হাতে পেয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরছিল বৃদ্ধ আলী হোসেনের চোখে। চোখেও কম দেখেন। হাঁটতেও পারেন না ঠিকমতো। তা-ও তিনি লাঠি ভর দিয়ে কুয়াশা ভেদ করে বাড়ি থেকে হেঁটে এসে অপেক্ষা করছিলেন পাকুড়িয়া আবাসন কমিউনিটি সেন্টারে। আলী হোসেন কম্বল হাতে পেয়ে বললেন, কি যে শীত বাবারা বুঝাতে পারব না। কেউ তো কিছু দেয় না। জীবনটাও তো শেষের পথে। বসুন্ধরার এই কম্বলডা দিয়ে যেন এই শীতটা পার করতি পারি। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০০০ দুস্থ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের শেষ দিনে দৌলতপুরের এই দুর্গম চরাঞ্চলে ৩০০ অসহায় শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ায় ২ হাজার কম্বল বিতরণ সম্পন্ন হলো। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, প্রচণ্ড এই শীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই মানুষগুলো ভীষণ কষ্টে ছিলেন। সরকারের সীমিত সম্পদ দিয়ে আমরা তাদের পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করি। তারপরেও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় এই মানুষদের জন্যে যে শীতের উপহার পাঠিয়েছেন, তা পেয়ে তাদের সঙ্গে আমরাও আনন্দিত। বসুন্ধরা গ্রুপের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের প্রশ্যাশা।

ফাতেমা খাতুন দাদির সঙ্গে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল নিতে। দাদির কাছে ফাতেমা বায়না ধরেছে তার লাল কম্বল চাই। শুভসংঘের কর্মী তার হাতে লাল কম্বল তুলে দিতেই ফাতেমার মুচকি হাসি। লাল টুকটুকে কম্বল পেয়ে সে খুব খুশি। শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সালাম বাজারে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সহযোগিতায় ২০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা আনুলিয়ায় ৩০০ অসহায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কালীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণ মাঠে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় এ শীতবস্ত্র বিতরণ করে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের ভোরে পদ্মা নদীর জেলে ও তাদের পরিবারের মাঝে নিজেদের অর্থায়নে শতাধিক কম্বল বিতরণ করল শুভসংঘের ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটি। শুক্রবার ভোরে শুভসংঘ ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোলের নেতৃত্বে শুভসংঘের বন্ধুরা নৌকাযোগে ঈশ্বরদীর সাঁড়া পদ্মা নদীর জেলেপল্লী ও নদীতে থাকা নৌকার মাঝি এবং জেলেদের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করে। এর আগে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ দেওয়া পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার হতদরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল শীতার্তসহ ৪০০ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১