বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২২

ফুলবাড়ীতে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রিতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই


দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ওএমএস এর চাল ও আটা বিক্রিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে চলছে চাল ও আটা বেচাকেনা। চিকিৎসকরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণের অবস্থা ভয়াবহতায় পৌঁছাবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ফুলবাড়ী পৌর এলাকায় চারজন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি চাল এবং ১৮ টাকা কেজি দরে আটা শুক্রবার ব্যতিত অন্য ছয়দিন বিক্রি করা হচ্ছে। এক একজন ডিলার নিজ নিজ এলাকায় এক টন চাল ও এক টন আটা বিক্রি করছেন। এতে করে এক একজন ক্রেতা পাঁচকেজি চাল ও পাঁচকেজি আটা ক্রয় করতে পারছেন।

শনিবার সকাল ৯ টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত ফুলবাড়ী কাঁটাবাড়ী বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বিক্রয় কেন্দ্র, নিমতলা মোড় এলাকার বিক্রয় কেন্দ্র, সুজাপুর টিটি মোড় এলাকার বিক্রিয় কেন্দ্র ও রেল ঘুমটি এলাকার বিক্রয় কেন্দ্রে সরজমিনে ঘুরে দেখা দেখা গেছে, ডিলারদের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের হাতে জীবানু নাশক স্প্রে করা হলেও ছিল না সামাজিক দূরত্বের বালাই। একই সাথে অধিকাংশ ক্রেতার মুখেই ছিল না মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। এতে করে সংক্রমণের শঙ্কাই বেশি।

চাল ও আটা ক্রয় করতে আসা কয়েকজন নারী ক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগে ভাগে লাইন দিয়ে না থাকলে ক্রেতার চাপে চাল ও আটক দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এ কারণে একটু হুড়াহুড়ি করেই কিনতে হচ্ছে। তবে সংক্রমণ নিয়ে তাদের তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। কপালে থাকলে করোনা ধরবেই এমনটিই হচ্ছে তাদের ধারণা। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন প্রবণতা নেই তাদের মধ্যে।

ডিলার দীপলাল প্রসাদ বলেন, প্রত্যেকদিনই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাল ও আটা ক্রয়ের জন্য ক্রেতার অনুরোধ করার পরও তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। উপরোন্ত এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তারাই আবার চড়ায় হচ্ছেন। তবে নিজেদের পক্ষ থেকে প্রত্যেকদিন ক্রেতাদের হাতে জীবানু নাশক স্প্রে করে হাত পরিবার রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় ফুলবাড়ীতে নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন ৩২ জন। এরমধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৭৩৮ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৮৩ জন এবং সক্রিয় রয়েছেন ৪২ জন।

ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম সাজু বলেন, ওএমএসের ক্রয় কেন্দ্রেগুলোতে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে সংক্রমণের অবস্থা ভয়াবহতার দিকে যাবে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ওএমএসের ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১