বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মোটা চাল কেটে হচ্ছে চিকন


বাজারে যে পরিমাণ চিকন চাল পাওয়া যায় সেই পরিমাণ চিকন চাল দেশে উৎপাদন হয় না। মোটা চালকে মেশিনে কেটে চিকন চাল হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। এ কারণে দেশে মোটা চালের উৎপাদন বৃদ্ধির পরও কমছে না চিকন চালের দাম। আবার চিকন চালের ক্রেতা বাড়ার পরও কমছে না মোটা চালের ক্রেতা।

দেশে এখনো ৩ কোটি ৯১ লাখ থেকে ৪ কোটি ৮ লাখ ভোক্তা মোটা চাল খাচ্ছে। ভোক্তার মোটা চাল খাওয়ার প্রবণতা গত ২০ বছরে মাত্র ১ শতাংশ ওঠানামা করেছে। সেটিও হয়েছে বছরওয়ারি ধান উৎপাদনের তারতম্যের কারণে।

হাউব্রিড ধান থেকে পাওয়া যায় মোটা চাল। এর অনেক জাত থাকলেও সব কটি উৎপাদনে নেই। মূলত হীরা-২, হীরা-৫, হীরা-১৯সহ স্থানীয় কয়েকটি জাত মোটা চালের বড় অংশ সরবরাহ করে।

এর বিপরীতে মোট জনগোষ্ঠীর ৯ কোটি ৫২ লাখ তার সাধ্য অনুযায়ী খাচ্ছে বিভিন্ন মানের ‘মাঝারি মোটা চাল’। এর সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় ৫০ শতাংশ চালের জোগান দিচ্ছে উচ্চ ফলনশীল দুটি জাত ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯। বাকি অংশ মিলছে অন্যান্য হাইব্রিড ও উফশী জাত থেকে।

অন্যদিকে দেশে ১১ কোটি ৯০ লাখ ধনী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি থাকলেও মাত্র ৩ কোটি ৪০ লাখ ভোক্তা খাচ্ছে চিকন চাল। অর্থাৎ দেশে অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে চিকন চালের ভোক্তা বাড়েনি। যেটুকু বেড়েছে, তা চালের বাজারে প্রবেশ করা মিলার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কারসাজির কল্যাণে।

এদিকে যে পরিমাণ চিকন চাল খাওয়া হয়, তার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পশুখাদ্য হিসেবে যে চাল ব্যবহার হচ্ছে, তার ৮০ শতাংশই মিলাররা মিলপর্যায়ে মাঝারি মোটা ও মাঝারি চিকন চালকে মিলিং ও ওভার পলিশিং করে বাই প্রোডাক্ট হিসেবে বের করছেন। কিছু চাল এনিমেল ফিড ঘোষণা দিয়ে আমদানিও হচ্ছে। এর মানে হচ্ছে মোটা চালের ভোক্তা কমেনি।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) তথ্য অনুযায়ী, মোটা চাল খাওয়ার পরিমাণ নিছক কম নয়। গত পাঁচ বছরে মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬০ টন মোটা চাল খাওয়া হয় দেশে। এর মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোটা চাল খাওয়ার পরিমাণ ছিল ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮১ লাখ ১২ হাজার টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮৭ লাখ ৬ হাজার ৯৬০ টন। এ ছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খাওয়া হয় ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টন। সবশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬ লাখ ৪ হাজার টন মোটা চাল খাওয়া হয়।

বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতে রয়েছে দেশ। গত দুই বছরে সামাজিক শ্রেণি কাঠামোয় করোনার যে আঘাত লেগেছে, তার নেতিবাচক প্রভাবে আগের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে। এতে দিন দিন মোটা চালের ভোক্তা আরো বাড়ছে। বিষয়টি টের পেয়েছে সরকারও। তাই আগের অবস্থান থেকে বের হয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নীতিনির্ধারকরা এখন মোটা চালের উৎপাদন বাড়ানোর রোডম্যাপের কথা বলছেন।

সরকারের উৎপাদন পরিকল্পনায় কেন মোটা চাল গুরুত্ব পাচ্ছে না, জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী দিনে অধিক উচ্চ ফলনশীল মোটা জাতের ধানের স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ পদক্ষেপের ভালো একটা ফলাফল আমরা আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে পাব।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন ও কৃষি বিজ্ঞানী ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস মোটা চাল প্রসঙ্গে বলেন, ময়মনসিংহে বিরুই চালের ব্যাপক উৎপাদন হয় এবং স্থানীয়রা এই চাল খায়; আবার সাপ্লাইও দেয়। এটা কিন্তু চিকন না। বরিশালে প্রচুর মোটা ধান হয় এবং লোকে মোটা চাল খায়। সারা দেশের গ্রামেগঞ্জে এখনো বেশিরভাগ মানুষ মোটা চালের ভাত খায়। যারা বলেন, রিকশাওয়ালাও মোটা চাল খায় না কিংবা গরুকে খাওয়ানো হয়, এগুলো অপ্রাসঙ্গিক ও বিচ্ছিন্ন কথাবার্তা; অজ্ঞতাবশতও হতে পারে। এ ধরনের আলোচনা না টানাই ভালো।

এসবে না গিয়ে তিনি যত দ্রুত সম্ভব অতি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত (হাইব্রিড) মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়ে অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ধরে রাখার পরামর্শ দেন।

দেশে বোরো, আমন ও আউস এই তিন মৌসুমেই ধান উৎপাদন হয়, তবে সব মৌসুমের সব ফলনেই চাষ হয় উফশী এবং হাইব্রিড বা উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাত। বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য ২০১টি উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের ছাড়পত্র রয়েছে, তবে কৃষক পর্যায়ে সারা দেশে ১০৮টি জাতের ধান কম-বেশি চাষ হয়। এগুলো থেকেই চাহিদা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার ধান উৎপাদন হয়।

এসব ধান থেকে সাধারণত চার প্রকার চাল পাওয়া যায়। সেগুলো হলো মোটা, মাঝারি মোটা, মাঝারি চিকন ও চিকন চাল। এর মধ্যে কোন ক্যাটাগরির চালের কত শতাংশ ভোক্তা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) কৃষি অর্থনীতি বিভাগ।

এ লক্ষ্যে সারা দেশে একটি জরিপ চালানো হয়। এই জরিপের সময় বিবেচনায় নেওয়া হয় ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা ২০ বছরকে। কোন বছর দেশে মোট কী পরিমাণ ধান-চাল উৎপাদন হয়েছে এবং ওই উৎপাদন থেকে কোন ক্যাটাগরির চাল কত শতাংশ মানুষ খেয়েছে, তা ছিল জরিপের বিষয়বস্তু।

২০২০ সালে এই জরিপটি শেষ হলেও অজ্ঞাত কারণে তা দেশে এখনো অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে। পূর্ণাঙ্গ জরিপটি সরকারের দায়িত্বশীল সব সংস্থার কাছে সংরক্ষিত।

ব্রি পরিচালিত এই জরিপে দাবি করা হয়, দেশে ১৭ কোটি মানুষ। বছরওয়ারি উৎপাদন বিবেচনায় মোটা চাল খায় জনগোষ্ঠীর ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া মাঝারি মোটা ও মাঝারি চিকন চাল খায় ৫৬ শতাংশ মানুষ। আর ২০ শতাংশেরও কম মানুষ খাচ্ছে চিকন চাল। এ তথ্যের সূত্র ধরেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন রকম চালের উল্লিখিত সংখ্যক ভোক্তার সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হালনাগাদ জরিপ অনুযায়ী দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ অতিদরিদ্র। আয়সীমা ও ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় এই দুই শ্রেণির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীই মোটা চালের ভোক্তা, যাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরকার ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।

দরিদ্ররাই মোটা চালের একমাত্র ভোক্তা নয়। পারিবারিক সমৃদ্ধি আছে গ্রামের এমন অনেক পরিবারও মোটা চালে অভ্যস্ত। কিছু পরিবার নিজেরাই খাওয়ার জন্য ধান উৎপাদন করে, যেগুলো স্থানীয় ও মোটা জাতের।

এভাবে প্রতি বছর উৎপাদিত চালের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাজারে যাওয়ার আগেই অদৃশ্য হয়ে যায়। এসব কারণে মোটা চালের যত উৎপাদন হয়, তার সবটাই বাজারে পাওয়া যায় না। এর বাইরে ভোক্তাকে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চিকন চাল খাওয়ানোর গোপন অপতৎরতা তো রয়েছেই।

এ কারণে সবখানে দোকানজুড়ে বস্তার খোলামুখে সাজানো থাকে বাড়তি দামের মাঝারি চিকন চাল কিংবা তার চেয়েও দামি চিকন চাল (মিনিকেট ও নাজিরশাইল)। চিকন চালের দাম বেশি হওয়ায় এখন মোটা চালের দামও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

অর্থনীতির সাধারণ নিয়ম হলো কোনো পণ্যের সরবরাহ কম হলে এবং তার বিপরীতে চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ে। অর্থনীতির সেই চিরাচরিত প্রভাবই এখন বাজারে পড়ছে।

বাজারে এখন বছরজুড়ে মোটা চাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি মোটা ৪৬ থেকে ৫২ টাকা, মাঝারি চিকন ৫২ থেকে ৫৮ টাকা ও চিকন (মিনিকেট ও নাজিরশাইল) ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা কেজির মধ্যে ওঠানামা করছে, তবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত চালের দাম আরো বেশি।

এসব কারণে বর্তমান বাজার কাঠামো অনুযায়ী এ চাল কেনার রসদ জোগাতেও অনেকে দিনভর দিচ্ছে হাড়ভাঙা শ্রম। কেউ বা লজ্জা ভুলে মাসের হিসাবটা একটু সহজ করতে বিকল্প উপায় খুঁজছে। আরো একটু সস্তায় মোটা চাল পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সরকারের সুলভ মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ওএমএসের দীর্ঘ লাইনে।

মোটা চালের সরবরাহ সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে, তবে চাহিদা অনুযায়ী মোটা চাল কম। এতে দাম বেড়ে যাচ্ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা ২০ লাখ টন চাল আমদানির মাধ্যমে মজুত বাড়িয়েছি। বিভিন্ন কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করছি। কিন্তু বিশ্ববাজার পরিস্থিতির কারণেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।

খাদ্যসচিব ড. নাজমানারা খানুম বলেন, প্রতি বছরই সরকার (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে বাফার মজুতের চেষ্টায় থাকে। স্থানীয় পর্যায় থেকেই তা সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। গত বোরো মৌসুমেও সরকার ১৯ লাখ ৮০ হাজার টন ধান-চাল সংগ্রহের কর্মসূচি নিয়েছে। এরই মধ্যে আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ পূরণ করেছি। এর বাইরে বৈশ্বিক বাস্তবতায় আমরা চাল আমদানিও করেছি। দেশে এখন চালের স্মরণকালের রেকর্ড মজুত রয়েছে।

কৃষিবিদ পরিমল কান্তি বিশ্বাস বলেন, বাজারে চিকন চালের যে ছড়াছড়ি, তার অর্ধেকও দেশে উৎপাদন হয় না। চিকন চালের ফলন রেকর্ডও খুব একটা ভালো না। তাহলে এর উৎস কোথায়? মূলত মাঝারি মোটা চালকেই মেশিনে কেটে চিকন করা হচ্ছে। আর যে অংশকে ছাঁটা হচ্ছে, তা দিয়ে বাই প্রোডাক্ট হিসেবে রাইস ব্র্যানসহ বহুমুখী এনিমেল ফিড তৈরি হচ্ছে। এই কৃষিবিদের ভাষ্য, চালে এই কাটাছেঁড়া বন্ধ করতে না পারলে একদিকে ভোক্তারা যেমন মারাত্মক পুষ্টি সংকটে পড়বে, অন্যদিকে চালের বাজারে নৈরাজ্যও বন্ধ হবে না। যতদূর জানি সরকার তা বন্ধ করতে কার্যকর উদ্যোগও নিতে শুরু করেছে।

দেশে চাল প্রস্তুতকারক ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ অটোরাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান বলেন, দেশে এত এত চিকন চালের সবটা দেশে উৎপাদন হয় না। আবার মিনিকেট নামেও কোনো ধান নেই। তাহলে এত চিকন চাল আসে কোথা থেকে?’

তিনি বলেন, আসলে নাজিরশাইল (নাজিরশাহী), জিরাশাইল, শম্পা কাটারি ছাড়াও ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯সহ বিভিন্ন মাঝারি চিকন হাইব্রিড জাতের ধানকে স্থানীয় পর্যায়ের মিলগুলোয় প্রসেস করে চিকন করা হয়। আর পলিশ করা অংশ দিয়ে বিভিন্ন বাইপ্রোডাক্ট তৈরি করা হয়।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম তালুকদার বলেন, বাজার থেকে বেশি জনপ্রিয় আটটি ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফলাফলে দেখা গেছে, এ চালগুলোর সবই মোটা। বিভিন্ন ধরনের মেশিনে ব্লেন্ডিং করে কেটে-ছেঁটে পলিশ করা হয়েছে। ওই ফেলে দেওয়া অংশ দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের পশুখাদ্য।

মিলারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০ মণ ধান থেকে ফ্রেশ মিনিকেট চাল পাওয়া যায় সাড়ে ছয় মণ। এ প্রক্রিয়ায় উচ্চমূল্যের হ্যাচারি ফিড পাওয়া যায় ১৫ কেজি, রাইসব্র্যান পাওয়া যায় ৫ থেকে ৬ কেজি। এ ছাড়া এগুলোর বাইরে পশুখাদ্য কালো চাল বা খুদ পাওয়া যায় ৭ থেকে ১০ কেজি; কুঁড়া হয় ৭০ থেকে ৮০ কেজি।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক হাজার কেজি মোটা চাল প্রসেস করে চিকন চাল বা মিনিকেট চাল পাওয়া যায় সাধারণত ৯৩৩ কেজি। এ ছাড়াও সাদা খুদ ২৬.৫ কেজি, কালো খুদ ১৪ কেজি, মরা চাল ৪.৫ কেজি, ময়লা ০.৭৫ কেজি ও পলিশ ২৭ কেজি পাওয়া যায়।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১