বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৫ জুন ২০২২

আইনমন্ত্রীকে নিজ হাতে বোনা কাঁথা উপহার দিলেন প্রতিবন্ধী হনুফা বেগম


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখউড়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নিজের হাতে বোনা কাঁথা উপহার দিলেন বাক প্রতিবন্ধী শাহ আলম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশি হয়ে স্বামী স্ত্রী দুজন শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে আইনমন্ত্রীর হাতে তারা কাঁথাটি তুলে দেন। মন্ত্রী নিজ হাতে তাদের দেওয়া কাঁথা গ্রহণ করেন।

ওই দুইজন উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কেন্দুয়াই আশ্রয়ণ প্রকল্পে পূর্নবাসিত। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো: মনির হোসেন বাবুল, মো: সেলিম ভূইয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু , সাধারণ সম্পাদক মো: শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, ও আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন প্রমূখ।

উপজেলার দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মো: জালাল উদ্দিন বলেন, হনুফা বেগমের স্বামী রিকশাচলাক শাহ আলম (৩৮) বাক প্রতিবন্ধী। তাদের কোনো সহায়-সম্পদ বলতে কিছুই নেই। নিজেদের থাকার মতো কোনো ঘরও ছিল না। তিন শিশু সন্তনকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতেন তারা। স্বামীর আয়ে সংসার না চলায় কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করেন হনুফা। দু বছর আগে তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভিজিডির কার্ড করে দেই। পরে মুজিববর্ষে হতদরিদ্রদের জায়গাসহ ঘর উপহার দেওয়া শুরু হলে সেই তালিকায় প্রাথমিকভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ প্রতিবন্ধী দম্পতি কেন্দাই গ্রামে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গাসহ ঘর পান। ঘর পাওয়ার পর মন্ত্রীকে উপহার দিতে একটি কাঁথা বোনেন তিনি।

শাহ আলমের স্ত্রী হনুফা বেগম জানান, আমার স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী এবং আমি নিজেও শারীরিক প্রতিবন্ধী । ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকবার কোনো ঘর ছিল না। অন্যের বাড়িতে কষ্ট করে আমাদের থাকতে হতো। শুনতে হতো মানুষের নানা কথাও। কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের জন্য আমাদের আজ মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। উনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের কাছে নেই। একটি কাঁথা বানিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম কবে মন্ত্রী মহোদয়কে এটি দিবো। অবশেষে মন্ত্রীর হাতে কাঁথা তুলে দিতে পেরে খুবই খুশি বলে জানান তিনি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১