বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৭ জুন ২০২২

পশুহাটে উপচে পড়া ভিড়, তবে নেই বেচাকেনা


ঈদুল আজহার বাকী আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ। ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর হাটে পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। কিন্তু হাটে বেচাকেনা নেই। ফলে হতাশায় ভুগছেন পশু বিক্রেতা ও হাটের ইজারাদার। পশু মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন, ‘দুই বছর করোনার পর এবার গো-খাদ্য সহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি। পশুপালনে খরচও বেড়েছে বেশ। এছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে হাটে প্রচুর সমাগম থাকলেও বেচাকেনা নেই। অপরদিকে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার পশুর দাম বেশি। বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। বেশি দামে পশু কিনে লাভে বিক্রি করা যাবে না। তাই লোকসানের শঙ্কায় পশু কেনার সাহস পাচ্ছি না।

জানা গেছে, প্রতি রোববার উপজেলার লালনবাজার-পান্টি সড়করের যদুবয়রা জয়বাংলা বাজার এলাকায় বসানো হয় ঐহিত্যবাহী যদুবয়রা সপ্তাহিক পশুহাট। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাটে পশু নিয়ে আসেন কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা। পশু কেনার জন্যেও আসেন ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বিকেলে পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, যদুবয়রা জয়বাংলা বাজার এলাকায় লালনবাজার-পান্টি সড়কের পূর্বপাশে লেগেছে বিশাল পশুহাট। বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে কয়েক হাজার ছোট বড় বিভিন্ন রঙের গরু। সেখানে হাজার মানুষ। কেউ পশু বিক্রি করতে এসেছেন। কেউ এসেছেন কিনতে। আবার কেউবা এসেছেন কোরবানির পশু দেখতে। আর সড়কের পশ্চিমপাশের মেহগুনি বাগানে বসেছে ছাগলের হাট। সেখানেও পশু ও মানুষের উপচেপড়া ভিড়।

স্থানীয় গরুর ব্যাপারী বাবলু শেখ বলেন, ৬টা মাঝারি আকারের ষাঁড় গরু এনেছি। কিন্তু বেচাবিক্রি নেই। তবে স্থানীয়দের কুরবানির জন্য দেড় থেকে দুই মণ ওজনের ছোট গরুর বেচাকেনা চলছে। চাঁদুপর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ঈদের তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই হাট জমে উঠে। কিন্তু এবার তেমনভাব নেই। প্রায় ৪ মণ ওজনের একটি বিক্রির জন্য এনেছি। কিন্তু দাম কম বলায় বিক্রি করিনি।

যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের মিঠু ফরায়েজি বলেন, কোরবানি দেওয়ার জন্য ৫৩ হাজার টাকায় একটা গরু কিনেছি। দুই মণ ওজন হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা থেকে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ খাবারের দাম বেশি হওয়ায় গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন পালনকারীরা। লোকসানের শঙ্কায় এখনও বড় গরু কেনা হয়নি। তবে ৬০ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে কিছু ছোট গরু কিনেছি।

যদুবয়রা পশুহাটের ইজারাদার শাজাহান হোসেন বাবু বলেন, ‘ হাটে পশু আছে প্রচুর। কিন্তু তেমন বেঁচাকেনা নেই। কিছু ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু কেনার লোক নেই। গোখাদ্যের দাম বেশি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পশুর চাহিদা ও দাম কম। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে এবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ৩ হাজার ৭৬৭ টি খামারে মোট ২৫ হাজার ৬৯৯ টি হৃদপুষ্টকরন পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তন্মধ্যে ষাঁড়  ১০ হাজার ৭৬৪ টি, বলদ ৬ হাজার ৫৩৪ টি, মহিষ ২১ টি এবং ছাগল ৮ হাজার ১৩৬ টি ও ভেড়া ২৪৪ টি। উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৫৪৩ টি। গত বছর খামারির সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৭ টি। সেখানে পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল ২৯ হাজার ৩২ টি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম বলেন, ‘ ঈদের হাট শুরু হয়েছে। তবে কেমন বেঁচাকেনা হচ্ছেনা। সাধারণত ঈদের সপ্তাহখানেক আগে বেশি পশু কেনাবেচা হয়।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১