আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে তৃপ্তি নিয়েই খাচ্ছেন আইসক্রিম। প্রত্যেকের রুচি অনুযায়ী লেমন অরেঞ্জ অথবা চকবার। কিন্তু কোন উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে লোভনীয় এসব আইসক্রিম। যা খেয়ে সব বয়সী লোকজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। গরমের সঙ্গে বেড়েছে আইসক্রিম কিংবা ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয়র কদরও। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিন্মমানের উপাদান ব্যবহার করে আইসক্রিম তৈরী ও বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। মূলত ররফ কারখানা। বাইরে থেকে ও ভেতরে গিয়েও এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সংশ্লিষ্টদের চোখ ছানাবড়া। কারখানার 'গোপন কক্ষে' গিয়ে প্রথমে একটি ড্রামে দেখা যায় রং, যা আইসক্রিমে ব্যবহার করা হয় এবং সাধারণ কাজে ব্যবহারের রং। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে আইসক্রিম তৈরির নানা পণ্য এবং বানানো পাঁচ হাজার আইসক্রিম। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার। রোববার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনুমোদনহীন এ আইসক্রিম কারখানার মালিক নরসিংদী রায়পুরার নবী হোসেনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নষ্ট করে দেওয়া হয় আইসক্রিম তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , এ কারখানার বরফ মাছ সংরক্ষণে কাজে লাগে। মাছ সংরক্ষণে যেন সমস্যা না হয় বরফ কারখানাটি সিলগালা করা হয়নি।
তিনি বলেন , বরফ কারখানাটির ভেতরে গিয়ে সন্দেহজনকভাকে ড্রাম খুলে দেখা যায় এতে রং ভর্তি। এসব রং একেবারে সাধারন মানের এবং খাদ্য হিসেবে খুবই ক্ষতিকর। এ সময় উদ্ধার করা আইসক্রিম ও উপকরণ নষ্ট করে ফেলা হয়। জব্দও করা হয় কিছু উপকরণ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১