বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


বাগেরহাটে টানা বৃষ্টি ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমুজুর ও নিম্নায়ের মানুষেরা। আর সুন্দরবনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে বন্য প্রাণী।

সুত্র মতে, বাগেরহাটসহসহ উপকূলীয় এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কখনওবা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে জেলার মোংলা, শরণখোলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ছোট ছোট মাছের ঘের ও পুকুর। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পন্য ওঠানামার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কমপক্ষে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপজেলা সদরসহ নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

রোববার বেলা ১১টা থেকে পানি বেড়ে পৌর শহরের বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি উঠে যায়। কোনো প্রকার বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস ছাড়াই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও পূর্ণিমার প্রভাবে বিগত দিনের চেয়ে রোববার পানির উচ্চতা ও চাপ বেশী দেখা গেছে। শত শত পুকুর ও মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। মোরেলগঞ্জ পৌরসভাসহ ২০টি গ্রামের শতশত মানুষ ও গৃহপালিত পশু-প্রাণী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বাগেরহাট শহরের রিক্সাভ্যান চালক ওবায়দুল শেখ জানান, পেটের দায়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকালেই তিনি বের হয়েছেন। তবে রাস্তায় যাত্রী খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

শরণখোলার খোন্তাকাটা এলাকার আব্দুলণ হাসিব জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে শরণখোলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। আর টানা বৃষ্টিতে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে মোংলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে অনেকে। মোংলার পশুর নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। পানি বাড়ায় ফেরিঘাটের প্লাটুন ও রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি ভিড়তে এবং যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন হচ্ছে।

মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন জানান, বৃষ্টির কারণে বন্দরের পশুর চ্যানেলে ও হারবাড়িয়ায় অবস্থান করা বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস-বোঝাই কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে বন্দরের জেটিতে পণ্য ওঠানো-নামানো স্বাভাবিক রয়েছে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রোববার সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি পানি হয়েছে। গতকালের চেয়ে একফুট পানি বেড়ে চার ফুট পানিতে তলিয়েছে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ সুন্দরবন। বন্য প্রাণীরা নিজেদের রক্ষার কৌশল জানে। তাই তারা নিরাপদে রয়েছে। তবে কিছু ছোট ছোট প্রাণীর ক্ষতি হতে পারে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১